বিনোদন অঙ্গনে ঈদ উৎসবের প্রস্তুতি কয়েক মাস আগেই শুরু হয়ে যায়। আগামী ঈদুল ফিতরের জন্য তৈরি সিনেমা, নাটক, ওয়েব ও গানের কনটেন্ট মুক্তির প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। সেই আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দর্শকের মধ্যেও। বিশেষ করে সামাজিক মাধ্যমে কনটেন্টগুলোর প্রচার চোখে পড়ার মতো। তবে অন্তর্জালে সিনেমার আলোচনাই বেশি হচ্ছে; প্রিয় তারকার সিনেমার পোস্টার, গান, টিজার শেয়ার করে নিজের মত জানাচ্ছেন অনেক ভক্ত। সে তুলনায় নাটক বা অন্যান্য কনটেন্ট নিয়ে আলোচনা কম।
তবে বিষয়টি পরিচালক মিজানুর রহমান আরিয়ান ব্যাখ্যা করলেন অন্যভাবে। তাঁর ভাষ্যে, ‘এখন গল্প, অভিনেতা, পরিচালকের মধ্যে যোগাযোগের জায়গাটা কমেছে। সাধারণত জনপ্রিয় অভিনেতা, পরিচালকদের কাজের বেশি আলোচনা হয়। কিন্তু এমন বেশ কিছু পরিচালক, আর্টিস্ট ওটিটির দিকে ঝুঁকেছেন। নাটকে টিমে বোঝাপড়াটা কমেছে। ফলে মুক্তির আগে নাটক নিয়ে যে আলোচনা হতো, কিছুটা হলেও শূন্যতা তৈরি হয়েছে। তবে নতুনেরা কাজ করছেন। তাঁদের সময় দিতে হবে। একসময় তাঁদেরও বোঝাপড়া তৈরি হবে। তখন নাটক আবার আলোচনায় ফিরবে।’
ঈদের অডিও গানেও আগের মতো জৌলুশ নেই। গানের সংখ্যাও কমেছে। জানা গেছে, ঈদুল ফিতরে শ খানেক অডিও ও ভিডিও গান প্রকাশিত হতে পারে। একসময় ঈদের আগে প্রিয় শিল্পীর গানের জন্য আলাদা অপেক্ষা থাকত শ্রোতাদের। গত বেশ কয়েক বছরে সেই আলোচনা কমে গেছে। এর কারণ কী? মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এমআইবি) মহাসচিব শেখ শাহেদ আলী মনে করেন, গান প্রকাশের ধরন বদল এর বড় কারণ। তাঁর ভাষ্যে, ‘এখন তো অডিও গানের সিস্টেম পরিবর্তিত হয়ে গেছে। অ্যালবাম বন্ধ হওয়ার পর মিউজিক ভিডিওর যুগ এল। একটা সময় সেটাও কমে গেল। কয়েক বছর আগেও ঈদে মিউজিক ভিডিও বের করার তোড়জোড় ছিল অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোর। ভিডিওগুলোতে পরিচালক, মডেল, শিল্পী—তাঁদের নিয়ে একটা আলোচনা তৈরি হতো। কিন্তু এসব থেকে একটা সময় আয় কমতে থাকে। এ কারণে অডিও, ভিডিও গানে আগ্রহও কমেছে প্রতিষ্ঠানগুলোর। এখন তারা নাটকের গানে ঢুকে যাচ্ছে।’ শাহেদ আলী মনে করেন, একটা সময় অডিও গান দোকানে দোকানে বাজত। আশপাশের সবাই শুনতেন, জানতেন। এভাবেই গান ছড়িয়ে যেত। এখন আর এই সংস্কৃতি না থাকায় গান নিয়ে আলোচনাও কম হচ্ছে।