পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-যশোর-বেনাপোল রেলসেবা আগামী ২ ডিসেম্বর থেকে চালু হবে। ট্রেনটি চালু হলে ঢাকা থেকে বেনাপোল পর্যন্ত যাত্রার সময় হবে সাড়ে ৩ ঘণ্টা। এছাড়াও ট্রেনটি চালুর ফলে ঢাকা থেকে যশোরের দূরত্ব কমবে ২০০ কিলোমিটার।
বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) পদ্মা রেল লিংকের প্রকল্প পরিচালক মো. আফজাল হোসেন বলেন, ‘আগামী ২ ডিসেম্বর সকাল ৬টায় সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেন খুলনা থেকে কমলাপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। এদিন বেলা ১১টার দিকে বেনাপোল এক্সপ্রেস কমলাপুর থেকে বেনাপোলের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।’
ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মতিয়ার রহমান জানান, পদ্মা সেতু হয়ে বেনাপোলগামী ট্রেনটি চালু হলে ঢাকা থেকে যশোরের দূরত্ব ২০০ কিলোমিটার কমে যাবে। এতে এই রুটে চলাচলকারী যাত্রীদের ভ্রমণের সময় অর্ধেকে নামবে। বর্তমানে যশোর যেতে সময় লাগে আট ঘণ্টার বেশি। ট্রেনটি চালু হলে বেনাপোলে যেতে সময় লাগবে সাড়ে তিন ঘণ্টার মতো। এছাড়াও এই রুটটি চালুর মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসায়িক অগ্রগতি হবে।
প্রকল্প পরিচালক আরও বলেন, নবনির্মিত ব্রডগেজ সিঙ্গেল লাইন রেল ট্র্যাকটি রূপদিয়া ও সিংগিয়া হয়ে খুলনাগামী রেল ট্র্যাককে সংযুক্ত করেছে। এছাড়া সরকার ৩৭ হাজার ১৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে কমলাপুর থেকে রূপদিয়া ও সিংগিয়া স্টেশন পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণ করেছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের সরকারি পরিদর্শকের (জিআইবিআর) ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত দুই দিনব্যাপী সফল পরিদর্শনের পর এ ঘোষণা এলো। এই রেলপথ বাংলাদেশ রেলওয়ের সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রকল্প এবং এর অর্ধেকেরও বেশি অর্থ চীনের ঋণ সহায়তায় নির্মিত। ঢাকা-ভাঙ্গা অংশ গত বছরের অক্টোবরে চালু হয়েছে এবং বর্তমানে এই অংশে পাঁচটি ট্রেন চলাচল করছে বলে জানান পদ্মা রেল লিংকের প্রকল্প পরিচালক মো. আফজাল হোসেন।
ঢাকা-যশোর-বেনাপোল রেল লাইনটি দেশের বৃহত্তম দুটি সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম ও মোংলাকে সরাসরি যুক্ত করবে। এতে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য আরও সহজ হবে।