আগামী ২ জুন থেকে শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। টুর্নামেন্টটির প্রস্তুতি নিতে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলছে বিভিন্ন দেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে নিজেদের ঝালাই করবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। চলতি মাসের ২২ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে ৪ ম্যাচের সেই সিরিজ।
ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকা সব ক্রিকেটারই খেলবেন পাকিস্তান সিরিজে। ঝামেলাটা এখানেই। কারণ ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকা বেশ কিছু খেলোয়াড় চলতি আইপিএলে খেলেছেন। পাকিস্তান সিরিজের কারণে তারা ইংল্যান্ডে ফিরেছেন বা শিঘ্রই ফিরবেন। এই তালিকায় আছেন- পাঞ্জাব কিংসে খেলা জনি বেয়ারস্টো, স্যাম কারেন ও লিয়াম লিভিংস্টোন, রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে খেলা উইল জ্যাকস ও রিস টপলি, রাজস্থান রয়্যালসের জস বাটলার, চেন্নাই সুপার কিংসের মঈন আলি ও কলকাতা নাইট রাইডার্সের ফিল সল্ট।কিছুদিন আগেই আইপিএল শেষ হওয়ার আগে এসব ক্রিকেটাররা ফিরে যাওয়ায় ক্ষোভ ঝেড়েছিলেন ভারতের কিংবদন্তি ওপেনার সুনীল গাভাস্কার। এসব খেলোয়াড়দের বেতন কেটে নেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। এবার ইংলিশ ক্রিকেটারদের একহাত নিলেন ভারতের সাবেক অলরাউন্ডার ইরফান পাঠান।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) ইরফান ইংলিশ ক্রিকেটারদের কড়া বার্তায় লিখেছেন, ‘এলে পুরো মৌসুমের জন্য আসবে, সেটি নাহলে আসারই দরকার নেই।’
এর আগে গাভাস্কার বলেছিলেন, ‘খেলোয়াড়রা যেকোনো কিছুর আগে দেশকে বেছে নিবে, আমি এর পক্ষেই। কিন্তু পুরো মৌসুমের জন্য থাকবে বলে আশ্বাস দিয়ে তারা যদি সেটি প্রত্যাহার করে তাহলে এটি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে হতাশ করবে। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো সম্ভবত এক মৌসুমে যেই টাকা দেয় সেটা তারা দেশের হয়ে খেলে কয়েক মৌসুমেও আয় করতে পারে না। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর শুধু খেলোয়াড়দের সঙ্গে চুক্তি করা টাকাই কাটা উচিত নয়, বোর্ডদের যে টাকা দেওয়ার কথা অর্থাৎ খেলোয়াড়প্রতি ১০ শতাংশ, সেটিও দেওয়া উচিত নয়।’গাভাস্কার আরও বলেছেন, ‘বোর্ডের আশ্বাসে তারা ফিরে গেলে বোর্ডেরও শাস্তি হওয়া উচিত। যাই হোক, বিভিন্ন বোর্ডকে খেলোয়াড়প্রতি যে ১০ শতাংশ করে দেওয়া হয় সেটি শুধুমাত্র আইপিএলেই হয়, অন্য কোথাও হয় না। অস্ট্রেলিয়ান বিগ ব্যাশে বা ইসিবি’র দ্য হান্ড্রেড, ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে বা বিশ্বের অন্য কোনো জায়গার টি-টোয়েন্টি লিগেই নয়। বিসিসিআই কি তার উদারতার জন্য কোন ধন্যবাদ পায়? কখনোই না।’