আমরা বেশিরভাগই প্রযুক্তিগত উন্নতির মতো, একাধিক কারণে অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। এমন অনেকেই আছেন যারা সকালের নাস্তাটাও ঠিকমতো করেন না। তাড়াহুড়ায় কোনো রকমে মুখে একটু খাবার নিয়েই কাজে ছোটেন। আবার অনেকে আছেন ইচ্ছা করেই দেরিতে নাস্তা করেন। এমন অভ্যাস মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। তাই সুস্থ থাকতে এবং সঠিক ওজন বজায় রাখতে সকালের নাশতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সকালের নাশতায় এমন খাবার বেছে নিন, যাতে সারা দিন পর্যাপ্ত শক্তি পাওয়া যায়। চলুন তেমনই কিছু স্বাস্থ্যকর খাবারের নাম জেনে নেওয়া যাক:
ডিম
ডিম দারুণ পুষ্টিকর এক খাবার। সকালে ডিমের যেকোনো একটি পদ খেয়ে নিন। সেদ্ধ হলে আরও ভালো, এতে কোনো তেল লাগে না।
গোটা শস্যের পাউরুটি
সাদা পাউরুটির পরিবর্তে গোটা শস্যের বাদামি পাউরুটি খেতে পারেন। আমিষের চাহিদা ও স্নেহজাতীয় উপাদানের পুষ্টিগুণ পেতে এর সঙ্গে বাদামের মাখন খেতে পারেন।
স্যান্ডউইচ
এই পাউরুটি দিয়েই তৈরি করতে পারেন স্যান্ডউইচ। মুরগির মাংস বা ডিমের স্যান্ডউইচও হতে পারে সকালের স্বাস্থ্যকর নাশতা। আপনি চাইলে এটি সবজি দিয়েও বানিয়ে নিতে পারেন। এর জন্য লো ফ্যাট পনির বেছে নিন। তবে হ্যাঁ স্যান্ডউইচে মেয়োনেজ দেবেন না।
কলা
প্রতিদিন সকালে কলাটি খেয়ে নিতে পারেন। এটি সারাদিনের কাজের জন্য শক্তি যোগাতে সাহায্য করবে।
ফলের সালাদ
ফলের রসের চেয়ে গোটা ফল খেলেই বেশি পুষ্টি পাবেন। আঁশসমৃদ্ধ ফল খেলে সহজে ক্ষুধাও পাবে না। আপনি চাইলে টক দই দিয়ে সালাদ ড্রেসিং করেও খেতে পারেন।
সবজির সালাদ
খানিকটা লবণাক্ত স্বাদ না পেলে আবার কারও কারও চলে না। তাঁরা সবজির সালাদ খেতে পারেন। সালাদে মুরগির মাংস বা ডিমও দিতে পারেন। নানা রকম মসলা দিতে পারেন।
ওটস
সকালে ওটস খেতে পারেন। ওটস দিয়ে খিচুড়ি হতে পারে। আবার এর সঙ্গে ফলও মেশাতে পারেন। এতে আমিষ আর আঁশ দুটোই পাবেন।
ফলের স্মুদি
চিনি ছাড়া স্মুদিও খেতে পারেন। সাদামাটা স্মুদিই স্বাস্থ্যকর। এতে ক্রিমজাতীয় উপকরণ ব্যবহার করবেন না।
কফি বা গ্রিন টি
সকালের নাস্তায় কফি বা গ্রিন টি পান করতে পারেন। এতে সতেজ বোধ করবেন। আবার বিপাক ক্রিয়া বাড়ায় ওজন কমানোও সহজ হবে। তবে অবশ্যই চিনি বাদ দিতে হবে।
টোফু
উদ্ভিজ্জ উৎস থেকে আমিষ গ্রহণ করতে চাইলে টোফু বেছে নিতে পারেন। এতেও কিন্তু সহজে ক্ষুধা পায় না।