বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় শর্ট ভিডিও প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে টিকটক। অনেকেই এখান থেকে বিভিন্ন কনটেন্ট উপভোগ করেন । বিশ্বে এর শতকোটির বেশি ব্যবহারকারী রয়েছেন। বাংলাদেশেও টিকটক ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুতগতিতে বাড়ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে সহজেই বিভিন্ন বিষয়ের ভিডিও তৈরি করা যায়। আর সেই ভিডিও অনেকেই টিকটকে পোস্ট করছেন। তাই এবার এআই প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি ছবি ও ভিডিও আলাদাভাবে চেনার সুযোগ দিতে নতুন নিয়ম করেছে টিকটক। আর সেই নিয়মানুযায়ী এবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি সব ছবি ও ভিডিওতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কনটেন্ট ক্রেডেনশিয়ল বা ডিজিটাল জলছাপ যুক্ত করে দেবে চীনের ভিডিও-নির্ভর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি।
এর আগে ব্যবহারকারীদের টিকটক অ্যাপের এআই দিয়ে তৈরি ছবি বা ভিডিওতে জলছাপ যুক্ত করতে হতো । নতুন এ নিয়মের ফলে টিকটকে আপলোড করা যেকোনো প্রতিষ্ঠানের এআই চ্যাটবট বা ইমেজ জেনারেটরের মাধ্যমে, তৈরি করা সব ছবি ও ভিডিওতে নিজেরাই ডিজিটাল জলছাপ যুক্ত করে দেবে। নতুন এ নিয়মের আওতায় ওপেনএআই, গুগল ও মাইক্রোসফটের এআই চ্যাটবট বা ইমেজ জেনারেটরের মাধ্যমে, তৈরি করা ছবি বা ভিডিও টিকটকে প্রকাশ করলেই সেগুলোতে ডিজিটাল জলছাপ দেখা যাবে। ফলে অন্য ব্যবহারকারী জানতে পারবেন ছবি বা ভিডিওর বিষয়বস্তু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। মূলত গুজব বা ভুল তথ্য ছড়ানো ঠেকাতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে প্ল্যাটফর্মটি।
যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন ঘিরে এআই দিয়ে তৈরি ছবি বা ভিডিওর মাধ্যমে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর শঙ্কা রয়েছে। এ জন্য টিকটকসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এআই দিয়ে তৈরি সব ধরনের ছবি বা ভিডিওতে জলছাপ যুক্তের উদ্যোগ নিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, এআইয়ের মাধ্যমে গুজব ছড়ানো ঠেকাতে গত বছর টিকটকসহ আরও ২০টি প্রতিষ্ঠান মার্কিন সরকারের সঙ্গে চুক্তিও করেছে। উল্লেখ্য, ভুল তথ্য ছড়ানো ঠেকাতে বিভিন্ন সময়ে ডিপফেক ভিডিও মুছে ফেলেছে ভিডিও-নির্ভর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি। নতুন এ নিয়মের ফলে টিকটকে আগের তুলনায় আরো ভালোভাবে এআই দিয়ে তৈরি করা ছবি বা ভিডিও শনাক্ত করা যাবে। ফলে আশা করা হচ্ছে ভুল তথ্য প্রচারের ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে কম হবে।