দেশে দুর্ঘটনার হার কমিয়ে আনতে সড়কভেদে মোটরযানের সর্বোচ্চ গতিসীমা নতুন করে নির্ধারণ করে দিচ্ছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, এক্সপ্রেসওয়ে ও মহাসড়কে প্রাইভেট কার, বাস ও মিনিবাসের সর্বোচ্চ গতিসীমা হবে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার, মোটরসাইকেল ৬০ কিলোমিটার এবং ট্রাক চলবে ৫০ কিলোমিটার গতিতে। সিটি করপোরেশন, পৌরসভা এবং জেলা শহরের মধ্যে মোটরসাইকেল ও ট্রাক ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারবে। অন্যান্য যানবাহনের জন্য এই গতিসীমা ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার।
বুধবার (৮ মে) থেকেই এই নীতিমালা কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছেন বিআরটিএর রোড সেফটি বিভাগের পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রব্বানী। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআরটিএর সুপারিশে এই নীতিমালার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ। বিআরটিএ চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) নুর মোহাম্মদ মজুমদার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘সড়ক/মহাসড়কে মোটরযানের সর্বোচ্চ গতিসীমা নির্ধারণ, নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনার নিমিত্তে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ “মোটরযান গতিসীমা নির্দেশিকা, ২০২৪” সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জারি করা হলো। এ নির্দেশিকা অবিলম্বে কার্যকর হবে।’
এতে আরও বলা হয়েছে, এক্সপ্রেসওয়ে ও জাতীয় মহাসড়কে (‘এ’ ক্যাটাগরি) প্রাইভেট কার, মাইক্রো ইত্যাদি হালকা যাত্রীবাহী মোটরযানের সর্বোচ্চ গতিসীমা হবে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার।এ দুই ধরনের সড়কে বাস-মিনিবাসসহ যাত্রীবাহী ভারী যানবাহনের সর্বোচ্চ গতিসীমাও হবে ৮০ কিলোমিটার। মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে এক্সপ্রেসওয়েতে সর্বোচ্চ গতিসীমা হবে ৬০ কিলোমিটার। আর জাতীয় মহাসড়কে (‘এ’ ক্যাটাগরি) চলতে পারবে সর্বোচ্চ ৫০ কিলোমিটার গতিতে। ট্রেইলরযুক্ত আর্টিকুলেটেড মোটরযানের সর্বোচ্চ গতিসীমা হবে ৪৫ কিলোমিটার।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এক্সপ্রেসওয়ে ও জাতীয় মহাসসড়কে (‘এ’ ক্যাটাগরি) তিন চাকার কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারবে না। সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও জেলা শহরের ভেতরের রাস্তায় গাড়ি, বাস ও মিনিবাসের গতিসীমা হবে ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার এবং ট্রাক, মোটরসাইকেল ও আর্টিকুলেটেড লরিতে গতিসীমা থাকবে ৩০ কিলোমিটার। নীতিমালায় উপজেলা ও গ্রামের রাস্তার গতিসীমাও নির্ধারণ করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, বাজার ও আবাসিক এলাকার কাছাকাছি গতিসীমা নির্ধারণ করে দেবে। তবে জাতীয় সড়কে ৪০ কিলোমিটার এবং আঞ্চলিক মহাসড়কে ৩০ কিলোমিটারের বেশি হবে না। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এই নিয়ম অ্যাম্বুলেন্স এবং ফায়ার সার্ভিসের মতো জরুরি পরিষেবামূলক যানবাহনের জন্য প্রযোজ্য হবে না।