সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে চোখ রাখলেই দেখা যাচ্ছে, তারকাদের ‘আইস ওয়াটার বাথ’ নেওয়ার ছবি। হলিউড থেকে বলিউড, অভিনেতা থেকে খেলোয়াড়— সব ক্ষেত্রের তারকারাই ডুব দিচ্ছেন কনকনে ঠান্ডা পানিতে। সমাজমাধ্যমে প্রিয় তারকাদের এই ‘ট্রেন্ড’-এ গা ভাসাতে দেখে অনেকেই বাড়িতে কারও তত্ত্বাবধানে না থেকেই ‘ক্রায়োথেরাপি’-তে ডুব দিচ্ছেন। বরফ এবং কনকনে ঠান্ডা পানি অন্তত পক্ষে ১০ থেকে ১৫ মিনিট ডুবে বসে থাকা মুখের কথা নয়। এই থেরাপি সব বয়সীদের জন্যে ভালো কি না এ নিয়ে রয়েছে নানা গবেষণা।
কেউ বলছেন, শরীরে ব্যথা-বেদনা নিরাময়ে এই পদ্ধতি বিশেষভাবে উপকারী। আবার, কারও মতে, এই থেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। তবে, ‘সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড অর্থপেডিক্স’-এর চিকিৎসক এ ব্রায়ন গার্ডনর বলছেন, ক্রায়োথেরাপির যে কোনো গুণ নেই, এ কথা হলফ করে বলা যায় না। তবে, টিস্যু কিংবা পেশির ক্ষত সারাতে ক্রায়োথেরাপি সবার ক্ষেত্রে একই রকমভাবে কাজ করে না। চলুন জেনে নেওয়া যাক কনকনে বরফপানিতে গোসল করলে কী কী উপকার হয়:
১. প্রদাহ নাশ করে
শরীরচর্চা করে বা অন্য যেকোনো কারণে হোক, দেহে প্রদাহ হলে এই কনকনে ঠান্ডা পানি তা নির্মূল করতে পারে।
২. পেশির ব্যথা কমে
শরীরচর্চা করার পর পেশিতে ব্যথা হওয়া স্বাভাবিক। আর এই ব্যথা নির্মূল করতে পারে বরফগলা পানি।
৩. রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে
দেহে সঠিকভাবে রক্ত সঞ্চালন করতে বরফগলা পানি সাহায্য করে। রক্ত সঞ্চালন ভালো হলে সহজেই দেহের বিভিন্ন অঙ্গে অক্সিজেন পৌঁছে যায়।
৪. মানসিক চাপ কমায়
চিকিৎসকরা বলছেন, ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে এক বিশেষ প্রোটিনের ক্ষরণ বাড়ে। যা মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
৫. ক্ষত নিরাময় করে
শরীরের কোনো জায়গায় আঘাত লাগলে সেখানে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। বরফগলা পানি সেই ক্ষত নিরাময়েও সাহায্য করে।