Skip to content

চালুর ৬ মাসের মধ্যেই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল বাড়ানোর চিন্তা

    চালুর ৬ মাসের মধ্যেই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল বাড়ানোর চিন্তা prothomasha.com

    ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশ খুলে দেওয়া হয়েছে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে। এক্সপ্রেসওয়ে নির্ধারিত ফি দিয়েই চলছে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন। কিন্তু আংশিক উদ্বোধনের ৬ মাস যেতেই এই উড়ালপথে চলাচলরত যানবাহনের কাছ থেকে আরও বেশি টোল আদায়ের চিন্তা করছে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। এ জন্য সরকারের কাছে একটি প্রস্তাব দেওয়ারও প্রক্রিয়া চলছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

    উদ্বোধনের পর থেকে পর্যায়ক্রমে এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচল ও টোল আদায় বাড়লেও তাতে সন্তুষ্ট নয় বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (এফডিইই) কোম্পানি লিমিটেড। এফডিইই বলছে এখন দিনে গড়ে ৪০ থেকে ৪২ হাজার যানবাহন চলাচল করছে। কিন্তু ৫০ হাজারের বেশি যানবাহন চলাচল না করলে আয় সন্তোষজনক হবে না। এ কারণে টোল বাড়ানোর বিষয়টি সামনে আসছে।

    এক্সপ্রেসওয়েতে ব্যক্তিগত গাড়ি, ট্যাক্সি, স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকেল (এসইউভি), মাইক্রোবাস (১৬ সিটের কম) ও হালকা ট্রাকের (৩ টনের কম) ক্ষেত্রে টোল ৮০ টাকা। সব ধরনের বাসের (১৬ সিট বা তার বেশি) টোল ১৬০ টাকা। মাঝারি ট্রাকের (৬ চাকা পর্যন্ত) টোল ৩২০ টাকা। ৬ চাকার বেশি ট্রাকের জন্য টোল ৪০০ টাকা। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ ও এফডিইইর তথ্যমতে, এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে চলতি ফেব্রুয়ারির প্রথম ২১ দিনে গড়ে ৪২ হাজারের বেশি যানবাহন চলাচল করেছে। দিনে গড়ে টোল আদায় হয়েছে ৩০ লাখ টাকা। এক্সপ্রেসওয়ে চালুর মাসে (সেপ্টেম্বর) দিনে গড়ে প্রায় ৩০ হাজার যানবাহন চলাচল করেছে। সে সময় দিনে গড়ে টোল আদায় হয়েছে ২৪ লাখ টাকা।সেতু কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, এক্সপ্রেসওয়ে চালুর প্রথম মাসে প্রায় ৪৫ কোটি টাকা আয় হয়েছে।

    মূল এক্সপ্রেসওয়ের দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। প্রকল্পের মূল নির্মাণকাজে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। এই এক্সপ্রেসওয়ের পথ হলো—হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা, কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী। গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর কাওলা থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত অংশ (সাড়ে ১১ কিলোমিটার) উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন ৩ সেপ্টেম্বর থেকে এই অংশে যানচলাচল শুরু হয়।

    চুক্তি অনুসারে, বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান নকশা প্রণয়ন, নির্মাণকাজের অর্থ জোগাড় ও উড়ালসড়ক চালুর পর তা পরিচালনা-রক্ষণাবেক্ষণ করবে। ২৫ বছর পর বাংলাদেশ সরকারের কাছে উড়ালসড়কটি হস্তান্তর করবে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান। এর আগে তারা টোল আদায় করে বিনিয়োগ করা অর্থ সুদসহ তুলে নেবে।বিনিয়োগকারীর সঙ্গে চুক্তি অনুসারে, উড়ালসড়ক দিয়ে দিনে সর্বোচ্চ প্রায় ৮০ হাজার যানবাহন চলাচল করবে বলে ধারণা করা হয়। আর সর্বনিম্ন যানবাহন চলাচল করতে পারে সাড়ে ১৩ হাজার। ৮০ হাজারের বেশি যানবাহন চলাচল করলে বাড়তি যে টোল আদায় হবে, এর ২৫ শতাংশ বাংলাদেশ পাবে।

    অবশ্য এখনো পুরো পথ চালু না হওয়ায় যানবাহন চলাচল কম বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে কর্তৃপক্ষ ও বিনিয়োগকারীরা বলছেন, আংশিক চালু হলেও দিনে যদি ৫০ হাজারের বেশি যানবাহন চলতো, তা হলে কাঙ্খিত আয় পাওয়া যেত। এফডিইই বলছে, শুরুতে সর্বনিম্ন টোল ১৫০ টাকা ধরা হয়েছিল। সরকার আপত্তি করায় তাঁরা সর্বনিম্ন টোল ৮০ টাকা করেছেন। টোল বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করছেন তারা।