Skip to content

খতনার সময় শিশুর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ, অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে বদলি

    খতনার সময় শিশুর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ, অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে বদলি prothomasha.com

    নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক শিশুর খতনা করার সময় অসাবধানতাবশত অতিরিক্ত কেটে ফেলা ও বাড়তি রক্তক্ষরণের ঘটনায় অভিযুক্ত উপসহকারী কমিউনিটি চিকিৎসা কর্মকর্তা বিজয় কুমার দেকে কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিন দ্বীপে বদলি করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষানবিশ চিকিৎসা সহকারী সৌরভ ভৌমিককে।

    আজ বৃহস্পতিবার নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই সঙ্গে এ ঘটনার তদন্তে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. জোবায়েরকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। জেলা সিভিল সার্জন মাসুম ইফতেখার এসব সিদ্ধান্তের বিষয় নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিজয় কুমার দেকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবেই বদলি করা হয়েছে।

    আজ দুপুরে জেলা সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আট বছরের শিশুটিকে দেখতে যায়। এ সময় নিবিড় পর্যবেক্ষণের জন্য শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে জেলা সদরের ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করতে বলেন সিভিল সার্জন। নির্দেশনা অনুযায়ী বেলা দুইটার দিকে শিশুটিকে জেলা সদরে স্থানান্তর করা হয়।

    ভুক্তভোগী শিশুকে গত বুধবার দুপুরে খতনা করার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। শিশুটির পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপসহকারী কমিউনিটি চিকিৎসা কর্মকর্তা ও শিক্ষানবিশ চিকিৎসা সহকারী শিশুটির খতনা করেন। খতনার সময় পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগে অতিরিক্ত কেটে ফেলা হয়। এতে বাড়তি রক্তক্ষরণ হলে উপসহকারী কমিউনিটি চিকিৎসা কর্মকর্তা ও শিক্ষানবিশ চিকিৎসা সহকারী পালানোর চেষ্টা করেন। শিশুটির চিৎকার শুনে অভিভাবকেরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ চিকিৎসকেরা গিয়ে শিশুটির রক্তক্ষরণ বন্ধ করেন।

    শিশুটির চাচা বলেন, হাসপাতালে শিশুকে খতনা করাতে গিয়ে এমন পরিস্থিতির মুখে পড়বেন, তা তাঁদের কল্পনায়ও ছিল না। এই ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি। জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা চিকিৎসক মো. সেলিম বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শিশুটি বর্তমানে সুস্থ। জেলা সিভিল সার্জনের গঠন করা তদন্ত কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।