বগুড়ার আদমদীঘিতে বেসরকারি সংস্থা গ্রাম উন্নয়ন কর্মের (গাক) শাখা ব্যবস্থাপক স্বপন মিয়ার (৩৫) বিরুদ্ধে ঋণ দেওয়ার নামে বাড়ি পরিদর্শনে গিয়ে এক গৃহবধূকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। তাকে বাঁচাতে স্থানীয় মাতব্বররা বৈঠক ডেকে ৩২ হাজার টাকায় মীমাংসা করলেও নারীকে ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। ওই নারী এ ব্যাপারে প্রতিকার পেতে আদমদীঘি থানায় অভিযোগ করেছেন।বুধবার সন্ধ্যায় আদমদীঘি থানার ওসি রাজেশ কুমার চক্রবর্তী জানান, ঋণ না দেওয়ায় স্বামীর সহযোগিতায় ওই নারী এনজিও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন।
অভিযোগের তদন্ত করে সত্যতা পেলে জড়িতের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে মাতব্বরদের বিষয়টি মীমাংসা করে দেওয়ার কথা তার জানা নেই।অভিযোগে জানা গেছে, যৌন নিপীড়নের শিকার ওই নারী বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার ডুমুরী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পরিবার নিয়ে স্থানীয় পশ্চিমবাজার এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন।
তিনি আদমদীঘির গোড়গ্রামে গ্রাম উন্নয়ন কর্ম (গাক) থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য ব্যবস্থাপক স্বপন মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ব্যবস্থাপক তাকে ঋণ দিতে সম্মত হন এবং গত ৮ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টার দিকে ওই নারীর বাসা পরিদর্শনে যান। এ সময় বাসায় কেউ না থাকায় ওই কর্মকর্তা ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে যৌন নিপীড়ন করেন। নারীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে গাক কর্মকর্তা তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে সটকে পড়েন। এ ব্যাপারে ওই নারী আদমদীঘি থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।
এদিকে স্থানীয় প্রভাবশালীরা গাকের ব্যবস্থাপক স্বপন মিয়াকে বাঁচাতে নানা কৌশল অবলম্বন করেন। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় আদমদীঘি ইউপি ভবনের পাশে একটি ক্লাবে সালিশবৈঠক ডাকা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মতিন রহমান, ফারুক প্রমুখ। সেখানে ওই নারীকে ৩২ হাজার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে মীমাংসা করা হয়।
অভিযোগ প্রসঙ্গে গাকের শাখা ব্যবস্থাপক স্বপন মিয়া ওই বৈঠকের কথা স্বীকার করে বলেন, তাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ৩২ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে। ওই নারী জানান, মাতব্বররা তাকে মাত্র ২০ হাজার টাকা দিয়েছেন। তিনি তার ওপর নিপীড়নের বিচার চেয়েছেন। আদমদীঘি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান জানান, তিনি এমন ঘটনা শুনেছেন। তবে নারীঘটিত ঘটনা মীমাংসা করা যায় না।