ঝিনাইদহে জনপ্রিয় হচ্ছে ব্লক ইট। ইতিমধ্যে জেলার শৈলকুপা, কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর উপজেলায় পরিবেশের ক্ষতি ছাড়াই গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি ব্লক ইট তৈরির কারখানা। মাটি ছাড়াই তৈরি হচ্ছে অত্যাধুনিক কংক্রিট ব্লক। পরিবেশ বান্ধব হওয়ায় দিন দিন জেলায় বাড়ছে এই ইটের ব্যবহার। সাধারণ ইটের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে এই ব্লক।
দেখতে সুন্দর, টেকসই ও পরিবেশ বান্ধব এই ব্লক ইট। এসব ব্লক তৈরি ইট মানুষ কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। ঝিনাইদহে পরিবেশ বান্ধব ও জমির মূল্যবান মাটি নষ্ট না করে আগুনে না পুড়িয়ে, বালু, পাথর গুঁড়া ও সিমেন্ট দিয়ে অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে তৈরি হচ্ছে ব্লক। শ্রমিকরা কারখানার পাশে স্তূপ করা পাথর, সিমেন্ট, সিলেকশন সেন্ড ট্রলিতে এনে হপারে (মেশিনের একটি অংশ) ঢেলে দেন। পরে মিক্সার মেশিনে অন্যান্য উপকরণ মিশিয়ে কনভেয়ার বেল্টের মাধ্যমে ভাইব্রো মাল্টি ক্যাভিটি মোল্ডিং মেশিনের মাধ্যমে তৈরি করা হয় এ ব্লক। মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানে মেশিন থেকে সারি সারি বেরিয়ে আসছে ব্লক।
এ অত্যাধুনিক ইউনি ব্লক (রাস্তার জন্য) ও ব্লক ইট (বাড়ি তৈরির জন্য) কিনতে ঝিনাইদহের কারখানাগুলোতে দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন অনেকেই। এসব কারখানাতে ১৫ থেকে ২০ জন লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। সরকারি অনুমোদন নিয়ে এসব প্রতিষ্ঠান চালু করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার আরএস কংক্রিট ব্লক স্বত্বাধিকারী সবুজ আলম সুজা জানান, পুঁড়ানো ইট আর এই ইটের মধ্যে পার্থক্য পুরোটায় উল্টা। পুঁড়ানো ইট আগুন নিভিয়ে পরিবেশ তৈরী করতে হয়। আর ব্লক ইট তৈরিতে পানি দিয়ে ঠান্ডা করতে হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী ব্লক ইটের কারখানা করে রাস্তা তৈরীসহ বাড়ি বানানোর কাজে ভালোই সাড়া পাচ্ছি। ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলাম জানান, সরকার ব্লক ইট ভাটা তৈরিতে উৎসাহিত করছে। এটা পরিবেশ বান্ধব অল্প জমিতে করা যায়। ফসলের জমি নষ্ট হয় কম। সে কারণে ঝিনাইদহে ধীরে ধীরে ব্লক ইট কারখানা গড়ে উঠছে। কম পুজিঁ লাগে। আমাদের পক্ষে যতটুকু সহযোগিতার প্রয়োজন আমরা তা করতে প্রস্তুত আছি।