চারটি মোবাইল কোম্পানির ১৫৩ কোটি টাকার সুদ মওকুফ অবৈধ বলে অভিমত দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তদন্ত কমিটি। প্রতিবেদন পাওয়ার পর বৃহৎ কর প্রদানকারী ইউনিট এলটিইউ ভ্যাট আদায়ের প্রক্রিয়া শুরু করে। অন্যদিকে সাবেক কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে অবৈধ কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বৃহৎ করদাতা ইউনিট এলটিইউ ভ্যাট চারটি মোবাইল অপারেটরের বিরুদ্ধে প্রাঙ্গণ ভাড়ায় ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগে ১৬টি মামলা করেছে। এর মধ্যে বাংলালিংকের সাতটি মামলায় ৮৪ কোটি, গ্রামীণ ফোনের ছয়টি মামলায় ৬৮ কোটি, রবি ও এয়ারটেলের বিরুদ্ধে তিনটি মামলায় ৩৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। ফাঁকি ও সুদসহ দাবিকৃত মোট পরিমাণ ৩৪২ কোটি টাকা।
2019-20 সালে, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির (ADR) মাধ্যমে মামলাগুলি সমাধান করা হয়েছিল। কোম্পানিগুলো চুরির জন্য ১৮৯ মিলিয়ন টাকাও দিয়েছে। তবে তৎকালীন কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরী ১৫৩ কোটি টাকার সুদ মওকুফ করেন। এ নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে এনবিআর একটি তদন্ত কমিটি করে। সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এখনও এই অর্থ সংগ্রহের সুযোগ রয়েছে। এলটিইউ ভ্যাট অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল রশিদ মিয়া বলেন, আমরা এ বিষয়ে একটি চিঠি পেয়েছি। এই চিঠি এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।
ফাঁকির টাকা আদায়ের পাশাপাশি সুদ আদায়ের নথি কমিশনারের কাছে উপস্থাপন করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। শুরুতে সুদের হিসাব দেওয়া হলেও পরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়াহিদা রহমান সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে আইনের ভুল ব্যাখ্যা করেছেন। একক সিদ্ধান্তে এ কাজ করায় বিভাগীয় ব্যবস্থাও নিচ্ছে এনবিআর। এনবিআরের সাবেক ভ্যাট কমিশনার আবদুল কাফি বলেন, আইন অনুযায়ী এখানে সুদ আদায়যোগ্য। এডিআর নিয়ে এই বিতর্কে এনবিআর কর্মকর্তাদের উদ্বেগ বেড়েছে। আর এতে মামলা নিষ্পত্তিতে প্রভাব পড়ছে। তদন্ত কমিটি অভিমত দিয়েছে, এডিআরকে উৎসাহিত করতে এনবিআর সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করতে পারে।
prothomasha.com
Copy Right 2023