এদিকে রাষ্ট্রীয় বিপণন সংস্থা টিসিবির জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে আট হাজার টন মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। রাজশাহীর নাবিল নবা ফুডস লিমিটেড থেকে এই মসুর ডাল কিনতে মোট খরচ হবে ৮৩ কোটি ১২ লাখ টাকা। প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম পড়বে ১০৩ টাকা ৯০ পয়সা।
আরেক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে এক কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।সিটি এডিবল অয়েল লিমিটেড থেকে এই তেল কিনতে মোট ব্যয় হবে ১৭৪ কোটি ৬৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এ ক্ষেত্রে প্রতি লিটারের দাম পড়ছে ১৫৮ টাকা ৭৯ পয়সা। আগের ক্রয় মূল্য ছিল ১৬৫ টাকা ২৫ পয়সা।
৪৩৯ কোটি টাকার সার কেনা হচ্ছে
বৈঠকে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ৪৩৮ কোটি ৯১ লাখ টাকার ইউরিয়া, ডিএপি সার ও ফসফরিক এসিড কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২৫৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকার ডিএপি সার, ১২২ কোটি ৫৫ লাখ টাকার ইউরিয়া সার ও ৬২ কোটি ৯২ লাখ টাকার ফসফরিক এসিড রয়েছে।এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত সচিব জানান, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় জিটুজি পদ্ধতিতে সৌদি আরবের মা আদেন থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানিতে ব্যয় হবে ২৫৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের দাম পড়বে ৫৭৬ মার্কিন ডলার, যা আগে ছিল ৫৮৯ মার্কিন ডলার।
এ ছাড়া কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কম্পানি লিমিটেডের (কাফকো) কাছ থেকে ৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কেনা হবে। এতে মোট ব্যয় হবে ১২২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। প্রতি টনের দাম পড়বে ৩৭১.৩৭ ডলার, যা আগে ছিল ৩১৬.৬২৫ মার্কিন ডলার। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ১০ হাজার টন ফসফরিক এসিড কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তিস্তার ওপর ব্রিজ নির্মাণে ব্যয় বাড়ছে
কাজের পরিধি বেড়ে যাওয়ায় গাইবান্ধা জেলার পাঁচপীর বাজার-চিলমারীর তিস্তা নদীর ওপর নির্মাণাধীন ব্রিজ ও মাতারবাড়ী পোর্ট ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার স্থানান্তরের ঠিকাদার নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয় ওই বৈঠকে।
নেত্রকোনায় ৫০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র হচ্ছে
বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখতে নেত্রকোনায় বেসরকারি উদ্যোগে ৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। সাঈদ মাহবুব খান বলেন, নেত্রকোনায় ৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য কনসোর্টিয়াম অব প্যারাগন পোলট্রি লিমিটেডের সঙ্গে ২০ বছর মেয়াদে ‘নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট’ ভিত্তিতে চুক্তি করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছেন।