ভারতের সাধারণ নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়াদিল্লি সফরে যাওয়ার বিষয়টি পূর্ব নির্ধারিত। ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর হবে ভারত। এখন পর্যন্ত নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী ২১ ও ২২ জুন সরকারি সফরে নয়া দিল্লি যাবেন।ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেভাবেই আসন্ন সফরের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই সফরে তিস্তা নদীর পানি বন্টন, গঙ্গা নদীর চুক্তি নবায়নসহ একাধিক অনিষ্পন্ন ইস্যূতে সমাধান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়া দিল্লি সফর দুই দেশের সম্পর্ককে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী মোদি নির্বাচনে জয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছিলেন এবং ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহাসিকভাবে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক জোরদার করার আশা প্রকাশ করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে সর্বশেষ দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে জি-২০ নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনের সময় হয়েছিল, যেখানে বাংলাদেশ অতিথি দেশ হিসেবে অংশ নিয়েছিল।বিশ্বের শিল্পোন্নত ও বিকাশমান অর্থনীতির জোট জি ২০ এর শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে ওই সফরে গিয়ে ৯ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক শেষে দুইপক্ষের মধ্যে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
সমঝোতা স্মারকগুলো হচ্ছে, কৃষি গবেষণা ও শিক্ষা সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক চুক্তির মেয়াদ ২০২৩ থেকে ২৫ পর্যন্ত বাড়ানো এবং বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনপিসিআইর মধ্যে সমঝোতা স্মারক। এর মধ্যে ভারতের এনপিসিআই ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার পর দুই পক্ষের মধ্যে নেটওয়ার্ক-টু-নেটওয়ার্ক সংযোগের মাধ্যমে রুপি-টাকায় পারস্পরিক লেনদেনের কাজ সহজ হয়েছে।
prothomasha.com
Copy Right 2023