২৯তম বিসিএস থেকে ১৩ বছর পর ভাইভার ডাক পাওয়া দেবদাস বিশ্বাসের ভাইভার ফল এখনো প্রকাশ করেনি সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। পিএসসি বলছে, জরুরি কিছু বিষয়ে পিএসসি ব্যস্ত থাকায় এই ফল প্রকাশ করা হয়নি। তবে সংশ্লিষ্ট শাখাকে ফল দ্রুত দেওয়ার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আনন্দ কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা ৪৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশের কাজ, ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারির কাজসহ আরও কিছু জরুরি কাজে ব্যস্ত ছিলাম। এখন সংশ্লিষ্ট শাখাকে ফল প্রকাশের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। তবে কবে এটি পাওয়া যাবে, তা এখনই বলতে পারছি না।’
এদিকে ২৯তম বিসিএস থেকে ১৩ বছর পর ভাইভার ডাক পাওয়া দেবদাস বিশ্বাসের ভাইভা নিতে বিশেষ বোর্ড গঠন করেছিল সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। ওই বোর্ডেই গত ২৫ ফেব্রুয়ারি নেওয়া হয়েছে দেবদাস বিশ্বাসের সাক্ষাৎকার। পিএসসির একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ওই সূত্র জানায়, ‘যথাযথ নিয়ম মেনে বিশেষ বোর্ড বসিয়ে ১৩ বছর পর ভাইভার ডাক পাওয়া দেবদাস বিশ্বাসের ভাইভা নেওয়া হয়েছে। এখন তাঁকে ফলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। আমরা এটি নিয়ে কাজ করছি। তবে যদি তিনি ভাইভায় পাস করেন, তাহলে তাঁর ফল প্রকাশিত হবে। কেননা যাঁরা পাস করেন না, তাঁদের ফল প্রকাশ করে না পিএসসি।’
২০০৯ সালে ২৯তম বিসিএসে আবেদন করেছিলেন দেবদাস বিশ্বাস। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণও হয়েছিলেন। কিন্তু ২০১০ সালে মৌখিক পরীক্ষার সময় টাকা জমা দেওয়ার রসিদ সঙ্গে না আনায় বাতিল হয় তাঁর মৌখিক পরীক্ষা। এ বিষয়ে ২০১১ সালে আদালতে রিট করেন তিনি। দীর্ঘ প্রায় ১৩ বছর পর আইনি লড়াই শেষে আবার পিএসসিতে মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাক পেয়েছেন তিনি।
পিএসসির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘হাইকোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ২৯তম বিসিএসে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থী দেবদাস বিশ্বাসের (রেজিস্ট্রেশন নম্বর ০০১৫৭৫) মৌখিক পরীক্ষা ২৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।’ ওই দিন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিএসসির প্রধান কার্যালয়ে দেবদাস বিশ্বাসের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আনন্দ কুমার বিশ্বাস বলেন, ২৯তম বিসিএসের প্রার্থী দেবদাস বিশ্বাস যখন মৌখিক পরীক্ষা দেন, সে সময় মৌখিক পরীক্ষার বোর্ডে টাকা জমা দেওয়ার রসিদ সঙ্গে আনার নিয়ম ছিল। কিন্তু রসিদ সঙ্গে না আনায় দেবদাস বিশ্বাসকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছিল। তিনি আদালতে রিট করেছিলেন। আদালতের চূড়ান্ত রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পর আবার তাঁকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়। ২০০৯ সালে ২৯তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। আবেদন করেছিলেন ১ লাখ ২৩ হাজার ৯৪৯ প্রার্থী। প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে ২০১১ সালে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে ১ হাজার ৭২২ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে সুপারিশ করা হয়েছিল।
prothomasha.com
Copy Right 2023