Skip to content

স্মার্টফোন যেভাবে দাম্পত্য জীবনে প্রভাব ফেলে

    স্মার্টফোন যেভাবে দাম্পত্য জীবনে প্রভাব ফেলে prothomasha.com

    স্মার্টফোন বর্তমান দৈনন্দিন জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে এটি ছাড়া আমাদের একদিনও চলে না। মোবাইল এবং ইন্টারনেট সংযোগ জীবনকে এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে, যে অবসর সময়ে আমরা ফোনে নানা ধরণের ভিডিও দেখে কাটিয়ে দেই। এটি এখন আসক্তিতে পরিণত হয়েছে।

    যার ফলে একে অপরের মুখোমুখি বসে গল্প, আড্ডা ও যোগাযোগ কমে গেছে। এই অভ্যাসের কারণে অনেকের দাম্পত্য জীবনেও প্রভাব পড়ছে। বাড়ছে উদ্বেগ ও অবসাদ। তাই সম্পর্ক ভালো রাখতে হলে জীবন থেকে ডিজিটাল দুনিয়ার প্রভাব সরিয়ে, সুস্থ জীবনযাপন গড়ে তুলতে হবে। চলুন কীভাবে করবেন জেনে নেওয়া যাক:

    ভাবার অভ্যাস তৈরি করুন:

    ডিজিটাল দুনিয়ার মোহে পড়ে আমরা নিজেকে নিয়ে আর ভাবি না। তাই সবার আগে নিজের জন্য সময় বের করতে হবে। ফোন দূরে রেখে প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে নিজের সঙ্গে সময় কাটান। দেখবেন, ভাবনাচিন্তার পরিসর অনেক বেড়ে যাবে।

    সময় ঠিক করে নিন:

    কতক্ষণ টিভি দেখবেন, কম্পিউটার বা ফোন চালাবেন, তার সময় নির্ধারণ করে নিন। ঘুম থেকে উঠেই ফোন থেকে অন্তত ঘণ্টাখানেক দূরে থাকার চেষ্টা করুন। খুব জরুরি ছাড়া অফিসের কাজ বাড়িতে আনবেন না। অন্তত ঘুমোনোর ঘণ্টাখানেক আগে ফোন রেখে দিন। অবসর সময় বই পড়ুন, পরিবারের সঙ্গে কাটান, গান শুনুন। নিজের পুরোনো শখগুলো নিয়ে আবার চিন্তা শুরু করুন।

    অ্যাপ ছাঁটাই:

    প্রয়োজনীয় অ্যাপ ছাড়া বাকি অ্যাপগুলো ফোনে না রাখাই ভালো। যেমন- পাঠাও ও খাবার অর্ডার করার মতো দরকারি অ্যাপ রেখে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ও চ্যাট করার অ্যাপ মুছে ফেলুন। দেখবেন, আর ফোনের দিকে তাকাতেও ইচ্ছে করবে না। কাজটা কঠিন হলেও করতে হবে। ‘ডায়েট’ শুরু করার সময় একটু কড়া হতেই হবে।

    বন্ধু খুঁজুন:

    ডায়েটের সময় আপনার একজন সঙ্গী দরকার। তাকে নিজের সমস্যার কথা খুলে বলুন। কোনো সময় ডিজিটাল দুনিয়ার প্রতি বেশি আসক্তি দেখালে তিনিই আপনাকে আটকাবেন। এই বন্ধু আপনার বাড়ির সদস্যও হতে পারেন। তার সঙ্গে গল্প করে অনেকটাই সময় কাটাতে পারেন।

    ফোন ছাড়া ছুটিতে যান:

    এখন ফোন ছাড়া চলা মুশকিল। রাস্তায় বের হলে ফোনের প্রয়োজন পড়ে। তবে ঘুরতে গিয়ে একবার গন্তব্যে পৌঁছে গেলে, খুব প্রয়োজন ছাড়া ফোন ধরা থেকে বিরত থাকুন। ওই ক’টা দিন শুধুই পরিবার, বন্ধুবান্ধব কিংবা সঙ্গীর জন্য বরাদ্দ রাখুন। পরিবেশের সান্নিধ্য উপভোগ করুন।