পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের মান্দারবাড়িয়া এলাকায় দুই জেলের জালে ধরা পড়েছে ৭টি জাভা ভোল মাছ, ১০টি মেদ ও দুটি সিলেট মাছ। লোকালয়ে নিয়ে আসার পর মাছগুলো বিক্রি হয়েছে ৩ লাখ ৫২ হাজার টাকায়। আজ রবিবার সুন্দরবনের খোলপেটুয়া নদীর নীলডুমুর খেয়াঘাটে নিলামে এসব মাছ বিক্রি করা হয়।সাতক্ষীরা রেঞ্জ অফিস সূত্রে জানা যায়, ১৪ ফেব্রুয়ারি শ্যামনগর উপজেলার পারশেমারি গ্রামের বারিক খাঁ কোবাদক স্টেশন থেকে পাস নিয়ে এবং পার্শ্ববর্তী ডুমুরিয়া গ্রামের শহীদুল ইসলাম বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন থেকে পাস নিয়ে সুন্দরবনের নদ-নদীতে মাছ ধরতে যান।
তাঁদের জালেই মাছগুলো ধরা পড়েছে।জেলে শহীদুল ইসলাম জানান, তাঁরা সুন্দরবনের নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। সুন্দরবন থেকে পাস নিয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনি ও বারিক খাঁ দুই নৌকায় ১০ জন জেলে নিয়ে সুন্দরবনে মাছ ধরতে যান। ২১ ফেব্রুয়ারি বেহালা নদীতে মাছ ধরার সময় বারিক খাঁর জালে ধরা পড়ে ৫টি জাভা ভোলসহ ৭টি মাছ। আর ২১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে একই নদীতে তাঁর জালে ধরা পড়ে দুটি জাভা ভোল মাছ ও ১০টি মেদ মাছ। বরফ দিয়ে শনিবার সকালে শ্যামনগরের নীলডুমুর খেয়াঘাটে আনার পর তাঁর মাছগুলো নিলামে বিক্রি হয় ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকায়। আর বারিক খাঁর মাছগুলো বিক্রি হয় ১ লাখ ৯৯ হাজার টাকায়।
মাছগুলো নিলামে কিনে নেন উপজেলার কলবাড়ি এলাকার মাছ ব্যবসায়ী আবদুস ছাত্তার।মাছ ব্যবসায়ী আবদুস সাত্তার জানান, জাভা ভোল মাছের ফুলকা চীন, থাইল্যান্ড ও জাপানসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়। মাছের ওজনের ওপর এসব মাছের দাম নির্ভর করে। যে জাভা ভোল মাছগুলো তিনি কিনেছেন, তার একেকটির ওজন সাড়ে তিন কেজির মতো। মেদ মাছগুলোর একেকটির ওজন সাত কেজি করে। সিলেট মাছ আকারে ছোট। জাভা ভোল মাছের বেশি চাহিদা রয়েছে বিদেশে। এ মাছের ফুলকা দিয়ে ওষুধ ও সুস্বাদু স্যুপ তৈরি হয়ে থাকে।
prothomasha.com
Copy Right 2023