গত কয়েকদিনের বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সিলেটের চার উপজেলার বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বেড়েছে সবগুলো নদীর পানি।পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যা ছয়টায় কানাইঘাট পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমা ১.২ সেন্টিমিটার এবং আমলশীদ পয়েন্টে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এছাড়া সুরমা, কুশিয়ারা, সারি ও গোয়াইন নদীর পানি ৫টি পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করেছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সোমবার থেকেই সিলেটে থেমে থেমে ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে সিলেটের নিম্নাঞ্চল। ইতোমধ্যেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস বলেন, ‘সিলেটে নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে আছে। যদি বৃষ্টি কমে আসে তাহলে এই পানি নেমে যাবে। আর যদি ভারতের মেঘালয় বা আসামে বৃষ্টি হয় তাহলে পাহাড়ি ঢলে বন্যা হবে। এজন্য আমাদের বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে।’
সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মোহাম্মদ সজিব হোসেন জানান, সিলেটে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪৬ দশমিক ০১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এ অঞ্চলে বৃষ্টি আরও দুদিন অব্যাহত থাকবে। ঢলে এরই মধ্যে প্লাবিত হয়েছে গোয়াইনঘাট উপজেলার রুস্তমপুর, ডৌবাড়ি, নন্দীরগাঁও, পূর্ব ও পশ্চিম আলীরগাও, পশ্চিম জাফলং, মধ্য জাফলং এলাকা। উপজেলায় মোট ৫৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে।
এছাড়া সালুটিকর-গোয়াইনঘাট সড়ক তলিয়ে যাওয়ার কারণে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে উপজেলা সদর।জৈন্তাপুর উপজেলায় নিজপাট লামাপড়া, বন্দরহাটি, ময়নাহাটি, জাঙ্গালহাটি, বড়খেলা, মেঘলী, তিলকৈপাড়া, ফুলবাড়ী, নয়াবাড়ী, হর্নি, বাইরাখেল, গোয়াবাড়ী, ডিবির হাওর, ঘিলাতৈল, মুক্তাপুর, বিরাইমারা হাওর, খারুবিল, লমানীগ্রাম, কাটাখাল, বাউরভাগ ও বাওন হাওরসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোবারক হোসেন জানান, কয়েকটি উপজেলায় আশ্রয় কেন্দ্র খোলা রাখা হয়েছে। আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে।
prothomasha.com
Copy Right 2023