প্রথম ওয়ানডেতে ভাগ্য শুরুতেই শ্রীলঙ্কার পক্ষে যায়। টস জিতে লঙ্কানরা আগে ব্যাট করে দারুণ সূচনা পেলেও স্বাগতিকদের হয়ে আলো কাড়েন পেসার তানজিম হাসান সাকিব। পাওয়ার প্লের শেষ দিকে বল করতে এসে সফরকারী তিন টপ অর্ডারদের ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান সাকিব।দলীয় ৮৪ রানে ৩ উইকেট হারালেও শুরুর দিকে চাপ সামলে নেন লঙ্কান অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস ও জানিথ লিয়ানাগে। এই দুই ব্যাটারের অর্ধশতকে ভর করে ৪৮.৫ ওভারে ২৫৫ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। তবে শেষ দিকে তাসকিন দুর্দান্তভাবে লঙ্কান মিডল অর্ডারে ধস না নামালে লক্ষ্য আরও বড় হতো বাংলাদেশের।
আগে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শুরুতেই বাংলাদেশের বোলারদের উপর চড়াও হন লঙ্কান দুই ওপেনার আভিস্কা ফার্নান্দো ও পাথুম নিশাঙ্কা।ইনিংসের সপ্তম ওভারেই দলীয় অর্ধশতক পূরণ করে বড় রানের বার্তা দেন দুই ওপেনার। তবে পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে বাংলাদেশকে সফলতা এনে দেন পেসার তানজিম সাকিব। ৩৩ বলে ৩৩ রান করা আভিস্কাকে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন সাকিব। দলীয় ৭১ রানে লঙ্কানদের প্রথম উইকেটের পতন ঘটে।
প্রথম উইকেট পাওয়ার পর যেন মুহূর্তেই বদলে যায় বাংলাদেশ দলের শরীরী ভাষা। ৭১ রানে শূন্য উইকেট থেকে শ্রীলঙ্কা তানজিম সাকিবের তোপে ৮৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায়। আভিস্কার পর নিশাঙ্কা ও সাদিরা সামারাবিক্রমাকে ফেরান সাকিব।তবে মিডল ওভারে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস। চতুর্থ উইকেট জুটিতে চারিথ আসালাঙ্কাকে সঙ্গে নিয়ে রানের গতি বাড়াতে থাকেন লঙ্কান অধিনায়ক। ক্রমেই বিধ্বংসী হতে যাওয়া আসালাঙ্কা-মেন্ডিস জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
ইনিংসের ২৬তম ওভারে আসালাঙ্কাকে(১৮) বোল্ড করে ফেরান মিরাজ। এরপর পঞ্চম উইকেট জুটিতে জানিথ লিয়ানাগেকে সঙ্গে নিয়ে আবারও দলের রানের গতি বাড়াতে থাকেন মেন্ডিস। নিজের অর্ধশতক পূরণ করে বড় রানের বার্তা দেন লঙ্কান অধিনায়ক।তবে দলীয় ২০০ রানের পূরণের আগেই ৩৭তম ওভারে তাসকিন আহমেদের গতিতে কাটা পড়েন মেন্ডিস। ৭৫ বলে ৫৯ রান করে মিড অফের উপর দিয়ে মারতে গিয়ে শান্তর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন কুশল। দলীয় ১৯৭ রানে পঞ্চম উইকেটের ঘটলে লঙ্কানরা আবারও দ্রুত সময়ের ভেতরে আরো দুই উইকেট হারিয়ে বসে। যার নেপথ্যে তাসকিন আহমেদ।
পাওয়ার প্লের শেষ দিকে সাকিব তিন টপ অর্ডারকে ফেরানোর মতোই তাসকিন আহমেদও শেষ দিকে তিন মিডেল অর্ডারকে সাজঘরে ফেরান। মেন্ডিসকে ফেরানোর পর হাসারাঙ্গা ও থিকসানাকেও ফেরান তাসকিন। দলীয় ২২৫ রানে ৭ উইকেট হারানো লঙ্কানরা দ্রুত গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে। শেষ দিকে ৬৭ রান করা লিয়ানাগেকে ফেরান শরীফুল ইসলাম। বাংলাদেশের তিন পেসারই ৩ উইকেট করে পেয়েছেন।
prothomasha.com
Copy Right 2023