জীবনে চলার পথে কত মানুষ কত কথা বলে। তবে এই কথাগুলো হয়তো আপনি শোনেননি। আর কথাগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ, জীবনের চলার পথকে সহজ করে তুলতে সহায়ক। জেনে নেওয়া যাক, কী সেগুলো।
১. পোশাক বা অ্যাপিরারেন্স নিয়ে অনেক ধরনের মতবাদ প্রচলিত আছে। তবে সত্য এটাই যে আপনি যত ভালো (দামী না), মার্জিত, স্মার্ট সজ্জা করবেন, অন্যরা আপনাকে ততই গুরুত্ব দেবে।
২. আপনি হয়তো সব সময় শুনে আসছেন, ‘কে কী বলল, তাতে আমার কিছু আসে–যায় না’ বা ‘অন্যের মতামতকে আমি থোড়াই কেয়ার করি’। তবে অন্যকে পাত্তা না দেওয়াটা মোটেই স্বাস্থ্যকর কোনো চর্চা না। এটা আপনাকে কেবলই আপনার ‘টক্সিক ভার্সন’ (বিষাক্ত সংস্করণ) হয়ে উঠতে সাহায্য করবে। নিজের সেরাটা বের করে আনার ক্ষেত্রে এটা একটা বড় বাধা।
৩. আপনি যখনই সফল হবেন, মানুষ আপনার ‘ওপর’ বিনিযোগ করতে ভরসা পাবে।
৪. আপনি যেখানোই কাজ করেন না কেন, যে অবস্থানেই থাকেন না কেন, সব সময় জানবেন, বাজারে আপনার ওই কাজের জন্য আপনার চেয়ে মেধাবী, পরিশ্রমী, তরুণ, যোগ্য মানুষ আছেন, যাঁরা হন্যে হয়ে আপনি যে কাজটা করছেন, সেটা করতে চাচ্ছেন। তাই নিজের কাজটা প্রতিনিয়ত সর্ব্বোচ্চ ভালোভাবে করার চেষ্টা করুন।
৫. আপনি যখন মানুষের সম্মান, সমর্থন খোঁজা বন্ধ করে নিজের ওপর মনোযোগী হবেন, নিজের উন্নতির জন্য কাজ করবেন এবং প্রতিষ্ঠিত হবেন, তখনই অন্যের সম্মান আর সমর্থন পাবেন।
৬. আপনি যতই কোনো কিছুতে অন্যের বৈধ্যতা (ভ্যালিডেশন) চাইবেন, ততই আপনি অন্যের কাছে নিজের গুরুত্ব হারাবেন। ততই আপনার ব্যক্তিত্ব খেলো হয়ে উঠবে।
৭. আপনি যখন দুঃখী, হতাশ, দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকবেন, কখনই পাশে সেই মানুষগুলোকে পাবেন না, আপনার আশেপাশে যাঁদের থাকা উচিৎ। আপনি যতই বলেন না কেন ‘অপজিট অ্যাট্রাক্টস’, বাস্তবতা হলো সুখী মানুষেরা সঙ্গী হিসেবে সুখী মানুষই চান। বিচ্ছেদ যাঁদের হয়েছে, যাঁরা সদ্য মা হয়েছেন বা চাকরি খুঁজছেন—সবারই একই গোষ্ঠীর নির্দিষ্ট ক্লাব আছে। আর কেউ সঙ্গী বা বন্ধু হিসেবে একজন হতাশ, দুঃখী মানুষ চান না। কেননা, কম–বেশি সবাই সুখী হতে চান।
৮. আপনি বর্তমানে যে সম্পর্কে আছেন, সেখানে যদি আপনি ভালো না থাকেন, নিজেকে বেশি করে সময় দিন। নিজের ওপর কাজ করুন। নিজেই নিজের জন্য যথেষ্ট হয়ে উঠুন। আগে নিজেই নিজেকে আরেকটু সুখী করে তুলুন। তারপর ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন। তবে আপনি একলা হোন বা দোকলা, বিশেষ করে অর্থনৈতিক ও আবেগীয়ভাবে নিজেই নিজের জন্য যথেষ্ট হবার কোনো বিকল্প নেই। তার মানে এই না যে আপনার সঙ্গীর কাছ থেকে আপনার কোনো আবেগীয় নির্ভরশীলতা বা চাহিদা থাকবে না। নিজের জন্য আবেগীয়ভাবে যথেষ্ট হওয়ার মানে হলো, আপনার সঙ্গী যদি কখনো সঙ্গী নাও থাকেন, আপনি যাতে সহজে, সুন্দরভাবে পরিবর্তিত পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারেন। আপনি যখন নিজে ফিট থাকবেন, তখন আপনার জন্য যোগ্য, ঠিকঠাক সঙ্গী নির্বাচন করা ও খুঁজে পাওয়া সহজ হয়ে যায়।
৯. এই পৃথিবীর সবচেয়ে ‘সাধারণ’ বিষয়গুলোর একটি হলো অপ্রয়োজনীয় আত্মত্যাগ। আজ থেকেই বাদ দিন।
১০. উচ্চাকাঙ্ক্ষী হোন, তবে লোভী না। খোলা মনের মানুষ হোন। তবে দ্বিধাগ্রস্ত না। কৌতুহলী হোন। ভুলে যান। ক্ষমা করে সামনে তাকান।