প্রযুক্তিবিশ্বে বেশ দাপটের সঙ্গে রাজত্ব করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি (এআই)। এটি কাজে লাগিয়ে সহজেই বিভিন্ন বিষয়ের ছবি বা ভিডিও তৈরি করা যায়। কিন্তু অনেকেই এর মাধ্যমে ভুয়া ছবি বা ভিডিও তৈরি করছেন। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি বা টুলের কারণে শিশু পর্নোগ্রাফির বিস্তার ঘটেছে। গবেষকেরা জানিয়েছেন শিশু পর্নোগ্রাফিসহ অনলাইনে শিশু নির্যাতনের সমস্যাকে আরো প্রকট করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড ইন্টারনেট অবজারভেটরির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে সাইবারটিপলাইন নামের একটি প্ল্যাটফর্মে অনলাইনে শিশু নির্যাতনের ঘটনার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা যায়। সেখানে প্রতিবছর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন অনলাইন টুলসের প্রতিবেদনও জমা হয়। পরে সেগুলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে পাঠানো হয়। ফলে তারা অভিযোগগুলো পর্যালোচনা করে শিশু নির্যাতনকারী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করতে পারে। যদিও আইনি সীমাবদ্ধতা ও ধীরগতিতে পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে অভিযুক্ত শিশু যৌন নির্যাতনকারী ব্যক্তিদের মধ্যে মাত্র ৫ থেকে ৮ শতাংশ গ্রেপ্তার হয়ে থাকে।
সম্প্রতি এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি করা বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও অনলাইনে শিশু যৌন নির্যাতনের ঘটনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ অ্যালেক্স স্ট্যামোস বলেন, এআইয়ের কারণে নতুন মাত্রায় অপরাধের তথ্য জানা যাচ্ছে। এরই মধ্যে এর মাধ্যমে তৈরি করা শিশুদের অশ্লীল ছবি ও ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ছে। নির্যাতিত শিশুদের ওপর থেকেও মনোযোগ সরিয়ে নিতে পারে এআই। আপনি কৃত্রিমভাবে তৈরি ভিডিও নিয়ে অনুসন্ধান করবেন, নাকি যেসব শিশু সত্যিকারে নির্যাতিত হচ্ছে তাদের রক্ষা করতে কাজ করবেন।
অনলাইনে শিশুদের সুরক্ষার লক্ষ্যে বিল উত্থাপনের জন্য কাজ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস। অনলাইনে শিশু নির্যাতন ঠেকাতে বিলটি পাস হলে প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলোকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে। শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা সংস্থা থর্ন জানিয়েছে, এআই দিয়ে ভিডিও ও ছবি তৈরির প্রতিযোগিতায় নেমেছে নির্যাতনকারী ব্যক্তিরা। যারা শিশু নির্যাতনকারী, তারা বিভিন্ন এআই টুল ব্যবহার করে নির্যাতনের হুমকি তৈরি করছে।
prothomasha.com
Copy Right 2023