ফিলিস্তিনের পর এবার পার্শ্ববর্তী দেশ লেবাননে হামলা চালাতে প্রস্তুত ইসরায়েল। ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা লেবাননে হিজবোল্লাহর মোকাবিলায় প্রস্তুত। লেবাননে আক্রমণ চালানোর পরিকল্পনা অনুমোদিত হয়েছে ও বৈধতা পেয়েছে। তবে এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েলকে সতর্ক করে দিয়েছে তাদের দুই মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি।
গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি অভিযান শুরুর পর থেকে একাধিকবার লেবানন সীমান্তে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। দুই দেশই সীমান্ত থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নিয়েছে। লেবাননের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ কাছে। তারা বেশ কয়েকবার হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। ইসরায়েলের সাথে সংঘাতে এখন পর্যন্ত শতাধিক যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। একই সময়ে লেবাননের কয়েকজন বেসামরিক নাগরিকও ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন।তবে এবার লেবানেন পুরোদস্তুর সামরিক অভিযানের পরিকল্পনা করছে ইসরায়েল।
যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও তুরস্ক ইসরায়েলের পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বার্লিন ও ওয়াশিংটন জানিয়েছে, যুদ্ধ আরো প্রসারিত হলে, তার ফল কী হবে, তা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন।জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেয়ারবক বুধবার বলেছেন, ‘আরেকটি যুদ্ধ মানে আঞ্চলিক সংঘাতের সম্ভাবনা অভাবনীয়ভাবে বেড়ে যাওয়া।’মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন ওয়াশিংটনে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর বলেছেন, ‘ইসরায়েল ও হিজবোল্লাহের মধ্যে আরেকটি যুদ্ধ মানে তা আঞ্চলিক যুদ্ধের আকার নেবে। কূটনৈতিক পথেই এই উত্তেজনা কমাতে হবে।’
অন্যদিকে লেবাননকে সমর্থন করে তুরস্ক আঞ্চলিক শক্তিগুলির কাছে আবেদন জানিয়েছে, তারাও যেন একইভাবে লেবাননের পাশে দাঁড়ায়।জাতিসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয়ে সবচেয়ে সিনিয়র কর্মকর্তা মার্টিন গ্রিফিথস বলেছেন, ‘যুদ্ধের পরিধি ও তীব্রতা বাড়লে তার ফল মারাত্মক হবে। আমি এটাকে ফ্ল্যাশ পয়েন্ট হিসাবে দেখছি।’
prothomasha.com
Copy Right 2023