ট্রান্সজেন্ডার বিষয়ক নাটক ‘রূপান্তর’ ইস্যুটি এবার আদালতে গড়িয়েছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ১ নং আমলী আদালতে নাটকটির অভিনেতা-অভিনেত্রী, পরিচালকসহ ৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। এতে বাদী হিসেবে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাউসার উল জিহাদ।
এর আগে, গত ১৬ এপ্রিল সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার জেরে ইউটিউব থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় ‘রূপান্তর’ নাটকটি। তবে এতে অভিনয়ের জেরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন অভিনেতা জোভান। সেই আঁচড় লেগেছে অভিনেত্রী সামিরা খান মাহির গায়েও! কারণ তিনিও এই নাটকে অভিনয় করেছেন।
দর্শকদের অভিযোগ, রাফাত মজুমদার রিংকু পরিচালিত নাটকটিতে ‘ট্রান্সজেন্ডার’ মতবাদকে প্রমোট করা হয়েছে। এ কারণে নাটকটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করা জোভানকে অনলাইনে তুলোধোনা করেন নেটিজেনরা। এমন কি জোভান ও সামিরা খান মাহি ফেসবুক ফ্যানপেজ গায়েব করে দেওয়া হয়ে। জোভানের ১৯ লাখের পেজ ও মাহির ২৪ লাখের পেজটি আর ফেসবুকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
মূলত ‘রূপান্তর’ ইউটিউবে প্রকাশের পর থেকেই শুরু হয় সমালোচনা। অসংখ্য পোস্ট ও লক্ষাধিক প্রতিক্রিয়া আসে নাটকটির বিরুদ্ধে। তীব্র সমালোচনায় পড়ে নাটকটি ইউটিউব থেকে সরিয়ে ফেলা হয়। এ প্রসঙ্গে তখন জোভান বলেছিলেন, আমি বুঝতে পারছি না নাটকটি নিয়ে কেন এমন সমালোচনা করা হচ্ছে। নাটকটির ভিউ হয়েছিল নব্বই হাজার। তাহলে বাকি মানুষ তো দেখেনি! আমার মনে হয় না তারা দেখেই সমালোচনা করছে। বিষয়টি নিয়ে আমি ঘোরের মধ্যে আছি। বুঝতে পারছি না কী হচ্ছে।
নাটকটিতে অভিনয়ের কারণে জোভানকে বয়কটের ডাক দেন দর্শকদের একাংশ। এমন আচরণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করছেন এই অভিনেতা। তার ভাষায়, এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হতে পারে। কারণ সামগ্রিকভাবে কথা বলার চেয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণটা বেশি হচ্ছে। তবে নেটিজেনদের এমন সমালোচনার মুখে জোভান সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দর্শক পছন্দ করেন না এমন কোনো চরিত্রে অভিনয় করবেন না।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টায় ইউটিউবে প্রকাশ করা হয় নাটক ‘রূপান্তর’। এতে হরমোনজনিত কারণে একজন মানুষের একা হয়ে যাওয়ার গল্পকে তুলে ধরা হয়েছে। এটি নির্মাণ করেছেন রাফাত মজুমদার রিংকু। জোভান ছাড়াও অভিনয় করেন সামিরা খান মাহি, সাবেরী আলম ও সমাপ্তি মাসুক।