মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। ফলে হেলিকপ্টার থেকে বোমা ও মর্টারশেলের শব্দে কাঁপছে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত। রাতে এই বিকট শব্দে সীমান্তবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, টেকনাফ, হ্নীলা, সাবরাং ও শাহপরীর দ্বীপ ও সেন্টমার্টিন সীমান্ত জুড়ে প্রতিবেশি দেশ মিয়ানমারের রাখাইন থেকে বিস্ফোরণের শব্দ সীমান্তবর্তী বাংলাদেশি বাসিন্দাদের কানে লাগছে। ধারণা করা হচ্ছে, মিয়ানমারের রাখাইনের মংডু ও তার আশপাশের সীমান্তে সরকারী বাহিনী ও বিদ্রোহী বাহিনীর মধ্যে এই সংঘর্ষ চলছে।
শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা সেলিম উল্লাহ বলেন, সারা রাত নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারের রাখাইন সীমান্তে হেলিকপ্টার থেকে ছোঁড়া বোমা ও মর্টারশেল বিস্ফোরণের বিকট শব্দে বাড়ি-ঘর ভূমিকম্পনের মত কেঁপে উঠে।
টেকনাফ সীমান্তের আরেক বাসিন্দা ছৈয়দ আলম বলেন, গতকাল শনিবার সকাল ও দুপুরে মিয়ানামার অংশে দুই-একবার হেলিকপ্টর উড়তে দেখা গেছে। এরপরেই হেলিকপ্টর থেকে বোমা নিক্ষেপ করছে সরকারি বাহিনী।
সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর হোসেন বলেন, মিয়ানমারের রাখাইনের চলমান সংঘাতে এপারের বাসিন্দারা নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাদের অভ্যন্তরে চলা এই যুদ্ধ এক-দুইদিন বন্ধ থাকলেও আবারও শুরু হয়। এমন আতঙ্কে সীমান্তসহ সাগরে ও নাফনদীর জেলেরা ভয়ে থাকেন। সেই সঙ্গে রাত জেগে বসে থাকে। শনিবার সারাদিন ও রাত পর্যন্ত সংঘর্ষ চলে। আজ রবিবার ভোর পর্যন্ত থেমে থেমে ব্যাপক হারে বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসছিল।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারের রাখাইনের চলমান সংঘাতে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ভেসে আসে বাংলাদেশ। বিস্ফোরণের বিকট শব্দ গতরাতে বেশি শোনা গেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এ বিষয়ে সীমান্তে স্থানীয়দের সর্তকভাবে চলাচলের জন্য বলা হয়েছে।
prothomasha.com
Copy Right 2023