পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক বলেছেন, যুদ্ধপূর্ব একটি পরিস্থিতির মধ্যে প্রবেশ করেছে ইউরোপ। কিন্ত এ নিয়ে ইউরোপের কোনো প্রস্তুতি নেই। তাঁর মতে, যুদ্ধে ইউক্রেন যদি রাশিয়ার কাছে পরাজিত হয় তাহলে ইউরোপের কোনো দেশই আর নিরাপদ থাকতে পারবে না।
ইউরোপীয় এক সংবাদমাধ্যমকে ডোনাল্ড টাস্ক বলেন, ‘আমি কাউকে ভয় দেখাতে চাই না। কিন্ত যুদ্ধ এখন আর অতীতের কোনো ধারণা নয়। যুদ্ধ এখন বাস্তব যা শুরু হয়েছে দুই বছর আগে।’ বিদ্যুৎ অবকাঠামোসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে ব্যাপক পরিসরে রাশিয়ার ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দিনই ইউরোপের দরজায় যুদ্ধ কড়া নাড়ছে বলে সতর্ক করলেন পোলিশ প্রধানমন্ত্রী। সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রনে হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর দাবি, শুক্রবার রাতে রাশিয়ার ছোড়া ৫৮টি ড্রোন ভূপাতিত ও ২৬টি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করেছে তারা। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ড্যানিস শিমহাল বলেছেন, হামলায় ইউক্রেনের পশ্চিম, মধ্য ও পূর্ব দিকের ছয়টি অঞ্চলে জ্বালানি অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক বলেছেন, সম্প্রতি মস্কোয় সন্ত্রাসী হামলার দায় কোনো প্রমাণ ছাড়াই ইউক্রেনের ওপর চাপিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর ন্যায্যতা দিতে ইউক্রেনে বেসামরিক স্থাপনায় হামলা জোরদার করাটা তার জন্য জরুরি। এ সপ্তাহের শুরুতে রাশিয়ার প্রথমবারের মতো কিয়েভে শব্দের চেয়ে দ্রুতগতিতে ছুটতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর বিষয়টিও উল্লেখ করেন পোলিশ প্রধানমন্ত্রী।
গত বছর পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হন ডোনাল্ড টাস্ক। এর আগে ২০০৭ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। গত বছর দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম কোনো বিদেশি সাংবাদিককে দেওয়া সাক্ষাতকারেও নিজেদের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী করতে ইউরোপের দেশগুলোর নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন ডোনাল্ড টাস্ক। পোলিশ প্রধানমন্ত্রীর মতে, ইউরোপের দেশগুলো যদি সামরিক দিক থেকে আরও আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠতে পারে তাহলে আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেন অথবা ডোনাল্ড ট্রাম্প যিনিই নির্বাচিত হন না কেন যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপের আরও ভালো মিত্র হয়ে উঠবে।