বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় শর্ট ভিডিও প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে টিকটক। অনেকেই এখান থেকে বিভিন্ন কনটেন্ট উপভোগ করেন। বিশ্বে এর শতকোটির বেশি ব্যবহারকারী রয়েছেন। তবে ব্যবহারকারীদের কাছে জনপ্রিয়তা পেলেও কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বেশ বিপদে রয়েছে চীনের ভিডিওনির্ভর এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি।
গত ২৪ এপ্রিল কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে অনুমোদনের পরপরই টিকটক অ্যাপ নিষিদ্ধের বিলে সই করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ফলে যুক্তরাষ্ট্রে পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে যাচ্ছে অ্যাপটি। তবে আটজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর এটি নিষিদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। গত মঙ্গলবার টিকটকের বিরুদ্ধে করা মামলায় নতুন আইনকে অসাংবিধানিক বলে অভিযোগ করেন টিকটকের কনটেন্ট ক্রিয়েটররা। এ ধরনের কার্যক্রম নাগরিকদের যোগাযোগের ওপর সরকারি হস্তক্ষেপের শামিল উল্লেখ করে তারা জানান, টিকটক বর্তমানে মার্কিন জীবনযাত্রার অংশ হয়ে উঠেছে। আর তাই টিকটক নিষিদ্ধ করা হলে ব্যবহারকারীদের অপূরণীয় ক্ষতি হবে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বিভিন্ন জায়গা থেকে নানা পেশা ও রাজনৈতিক আদর্শের মানুষ টিকটকে নিজের তথ্য প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে আইনজীবী আম্বিকা কুমার বলেন, নিজেদের প্রকাশ করতে, শিখতে ও কমিউনিটি তৈরি করতে টিকটকের ওপর নির্ভর করেন এই কনটেন্ট ক্রিয়েটররা। আর তাই টিকটক বন্ধ করা হলে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রথম সংশোধনীর অধিকার খর্ব হবে। আনুমানিক ১৭ কোটি মার্কিনিদের অধিকারও একই সঙ্গে ক্ষুণ্ন হবে। নিষেধাজ্ঞা বাক্স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ। উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন টিকটক নিষিদ্ধের বিলে সই করার আগে থেকেই অনেক ব্যবহারকারী টিকটক অ্যাপ চালু রাখার জন্য ওয়াশিংটনের ওপর চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করেন। হ্যাশট্যাগে ‘কিপ টিকটক’ লিখে অনলাইনে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি প্রচারণাও চালান তারা।
prothomasha.com
Copy Right 2023