Skip to content

যাক, বিপিএলে তাহলে দুই শ’ও হয়

    যাক, বিপিএলে তাহলে দুই শ'ও হয় prothomasha.com

    এবারের বিপিএলে রানখড়া নিয়ে কত্ত সমালোচনা। ঢাকায় শুরু হওয়া টুর্নামেন্ট মিরপুর থেকে সিলেট ঘুরে আবারও এসেছে ঢাকায়। কিন্তু কোনোভাবেই যেন ২০০ পেরোনো স্কোরের দেখা মিলছিল না। দেখা পাওয়া যাচ্ছিল না ব্যক্তিগত শত রানের ইনিংসেরও। অবশ্য গতকাল এবারের টুর্নামেন্টের ২৬তম ম্যাচে তাওহীদ হৃদয়ের কল্যাণে প্রথমবারের মতো সেঞ্চুরি দেখেছে বিপিএল। তবুও আক্ষেপটা ছিল, দলীয় ২০০ রান দেখার। সেটির জন্য বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয়নি। আজ শনিবার দিনের প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বোলারদের বেধরক পিটিয়ে ৩ উইকেট ২১১ রানের সংগ্রহ পেয়েছে রংপুর রাইডার্স। এরইসঙ্গে ২৭তম ম্যাচে প্রথম দলীয় ২০০ রানের স্কোর দেখল দর্শকেরা। রংপুরে সদ্য যোগ দেওয়া জিমি নিশাম ও রেজা হেনড্রিকসের ফিফফির সঙ্গে সাকিব, রনি তালুকদার ও সোহানের কল্যাণে রান পাহাড় গড়েছে তালিকার শীর্ষ দল রংপুর।

    বাবর আজম রংপুর বাংলাদেশ ত্যাগ করার পর থেকে বাড়তি নজর ছিল রংপুর রাইডার্সের দিকে। পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানের জায়গায় বিশ্বমানের ক্রিকেটার নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতিই দিয়েছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। আজ শনিবার চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ম্যাচে চার-চারজন নতুন বিদেশি খেলোয়াড় নিয়ে রীতিমতো চমকে দিয়েছে রংপুর।  একদিকে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দল রংপুর, অন্যদিকে সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট নিয়েও রান রেটের ব্যবধানে তিনে থাকা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। আজকের ম্যাচটি তাই ছিল এগিয়ে যাওয়ার। এমন ম্যাচে প্রথমে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রংপুর অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান।

    সদ্য দেশে আসা রেজা হেনড্রিকস, ইমরান তাহির, জিমি নিশাম ও টম মুরসের মতো বিদেশি খেলোয়াড় যখন একাদশে থাকে, তার ওপর ফর্ম ফিরে পাওয়া সাকিব আল হাসান, রনি তালুকদারদের মতো দেশি ক্রিকেটারের সমন্বয়, টস জিতে ব্যাটিং নেওয়াটাই স্বাভাবিক ছিল রংপুরের জন্য। প্রথমে ব্যাটিংয়ে অধিনায়কের সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতার প্রমাণ দিতে থাকেন রনি তালুকদার ও রেজা হেনড্রিকস। প্রথম দিকে হেনড্রিকস কিছুটা রয়েসয়ে খেললেও রনি ছিলেন আগ্রাসী। তবে ইনিংসের চতুর্থ ওভারে শহীদুল ইসলামের টানা দুই বলে ছক্কা-চার মেরে খোলস ছেড়ে বের হওয়ার ইঙ্গিত দেন হেনড্রিকসও।

    দুই ওপেনারের ব্যাটিং দৃঢ়তায় পাওয়ার প্লে-তে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫২ রানে পৌঁছায় রংপুর। পাওয়ার প্লে শেষ হতেই প্রথম ব্রেক থ্রু পায় চট্টগ্রাম। নিহাদুজ্জামানের শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে ক্যাচে পরিণত হন রনি (১৭ বলে ২৪ রান)। এরপর সাকিবকে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে ৩০ বলে ৬০ রান তোলেন হেনড্রিকস। দুজনের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে একাদশ ওভারের শুরতেই দলীয় শত রান পেরিয়ে যায় রংপুর। তখন থেকে অনুমান করা যাচ্ছিল, এবারের বিপিএলে প্রথম দুই শ পেরোনো ইনিংস হতে পারে আজ।

    কিন্তু ইনিংসের ১৩তম ওভারে ধাক্কা খায় রংপুর। সালাউদ্দিন শাকিল বোলিংয়ে এসে মাত্র ১ বলের ব্যবধানে আউট করেন রংপুরের দুই সেট ব্যাটসম্যানকে। ওভারের প্রথম ডেলিভারিতে শর্ট পিচ বলে সাকিব (১৬ বলে ২৭ রান) ক্যাচ তুলে দেন টম ব্রুসের হাতে। এক বল পরেই হেনড্রিকস ক্যাচ দেন জস ব্রাউনের হাতে। প্রথমবার বিপিএল খেলতে নামা হেনড্রিকস যখন আউট হলেন, তখন তাঁর নামের পাশে ৪১ বলে ৫ চার ও ৩ ছয়ে ৫৮ রান।

    একই ওভারে দুই ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে রংপুরের রানের গতি কিছুটা কমে যায়। তখনও মনে হচ্ছিল, দুইশ নাও হতে পারে। কিন্তু জিমি নিশাম সে শঙ্কা দূর করে দেন। কিউই ব্যাটসম্যানকে যোগ্য সঙ্গ দেন নুরুল হাসান সোহান। দুজনের ৪৫ বলে ৮৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দুই শ পেরিয়ে যায় রংপুর।  শেষদিকে নুরুলের চেয়ে বেশি বিধ্বংসী ছিলেন নিশাম। এ কিউই ব্যাটসম্যান ২৬ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৫১ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন। অন্যদিকে নুরুলের নামের পাশে ২১ বলে ২ চার ও ১ ছয়ে ৩১ রান।