ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ভোলায় দুই হাজারের অধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সময় ঘরচাপা ও গাছচাপায় তিনজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে একজন করে নারী, পুরুষ ও শিশু রয়েছে। সোমবার (২৭ মে) সকালে তাদের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন- লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের মনেজা খাতুন (৫০), বোরহানউদ্দিন উপজেলার চাচড়া ইউনিয়নের জাহাঙ্গির (৫০) ও দৌলতখান উপজেলার পৌর ২ নম্বর ওয়ার্ডের মনিরের মেয়ে মাইশা (৪)। ভোলার জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিহতের পরিবারকে নগদ ২৫ হাজার টাকা করে সহায়তা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে জেলার সাত উপজেলায় পাঁচ হাজার ঘর আংশিক এবং দুই হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে চূড়ান্তভাবে তালিকা তৈরির মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের বরাদ্দ দেওয়া হবে। জেলা প্রশাসনের সতর্ক অবস্থা এবং সর্বোচ্চ প্রস্তুতির কারণে ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও অতি জোয়ারে তলিয়ে গেছে ২০টিরও বেশি গ্রাম। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ।
এদিকে, দুপুর আড়াইটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভোলার উপকূলীয় এলাকায় ভারি বর্ষণ ও ঝোড়ো বাতাস অব্যাহত ছিল। এতে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেটসেবা বিচ্ছিন্ন থাকায় আরও বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। তবে সবচেয়ে বেশি বিরস্বনায় পড়তে হয়েছে গণমাধ্যমকর্মীদের। এছাড়াও অতি জোয়ারে তলিয়ে গেছে ২০টি বেশি গ্রাম। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ।
prothomasha.com
Copy Right 2023