২৩ ধাপে কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির থেকে আরওে ১ হাজার ৫২৭ জন রোহিঙ্গা নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছেছে। একই বহরে ৬৪০ জন পুরাতন রোহিঙ্গা ছিল। স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গা নাগরিকদের গতকাল বিকেল ক্যাম্প থেকে বাসে করে কক্সবাজারের উখিয়া ডিগ্রি কলেজের মাঠে নেওয়া হয়। আজ বুধবার নৌবাহিনীর চারটি জাহাজে করে তাদের ভাসানচরে নিয়ে আসা হয়। এ নিয়ে ভাসানচর আশ্রয়কেন্দ্রে রোহিঙ্গা নাগরিকের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৩ হাজার ৫২৭।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) শামসু দৌজা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ২৩তম দফায় উখিয়া-টেকনাফের ক্যাম্প থেকে ১ হাজার ৫২৭ রোহিঙ্গা ভাসানচর গেছে। আজ সকালে নৌবাহিনীর জাহাজে তাদের ভাসানচরের উদ্দেশে যাত্রা করে। এর আগে একই প্রক্রিয়ায় কক্সবাজারের ক্যাম্প থেকে ৩২ হাজার রোহিঙ্গা ভাসানচরে যান।
পরিবারের ৬ সদস্য নিয়ে টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সামনে বাসের অপেক্ষা করছিলেন আব্দুল খালেক। তিনি বলেন, ‘পরিবারের সদস্য সংখ্যা বাড়ছে। এখানে পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে জীবনযাপন করতে হচ্ছে। ভাসানচরে থাকা রোহিঙ্গারা (কক্সবাজার থেকে) বেশি রেশন পায়। তাই ভাসানচরে চলে যাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আরকানের পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। সেখানেও ফিরে যাওয়ার কোনো পথ দেখছি না। ভাসানচরে যাওয়া ছাড়া আর কোনো পথ নেই।’প্রসঙ্গত, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে রাখাইন রাজ্যের ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। তারা কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ায় শরণার্থী শিবিরগুলোতে বসবাস করছেন। শরণার্থীদের চাপ কমাতে ২ বছর আগে অন্তত এক লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর হাতিয়ার কাছে মেঘনা মোহনার দ্বীপ ভাসানচরে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করে সরকার।
prothomasha.com
Copy Right 2023