বোতাম ব্যাটারি। এটি অনেকটা বোতামের মতো দেখতে এক রকম ব্যাটারি; যা প্রচলিত ব্যাটারির আধুনিক সংস্করণ এবং পাওয়ার সোর্স হিসেবে ছোট শিশু থেকে বৃদ্ধ—সব বয়সের মানুষই নিয়মিত ব্যবহার্য সামগ্রী যেমন খেলনা, খেলনা গাড়ি, বড়দের অটোমেটিক ঘড়ি, ক্যালকুলেটর, গাড়ির অটোমেটিক চাবি, টিভির রিমোট কন্ট্রোল ইত্যাদিতে ব্যবহার করে থাকেন।
খেলনা গাড়ি ভেঙে বা অন্যভাবে এ ব্যাটারি বাচ্চারা নাগালে পেলে অভ্যাসবশত মুখের ভেতর ঢুকিয়ে দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে এটি শ্বাসনালি ও খাদ্যনালি উভয় পথে ঢুকে যেতে পারে। শ্বাসনালিতে ঢুকলে শ্বাস বন্ধ হয়ে বাচ্চার তাৎক্ষণিক মৃত্যু হতে পারে। অন্যদিকে খাদ্যনালিতে ঢুকলে ব্যাটারি আর সব জিনিসের মতো পায়খানার সঙ্গে বেরিয়ে আসবে না। ব্যাটারির ভেতর থেকে বের হওয়া রাসায়নিক পদার্থ নাড়ির ব্যাপক ক্ষতই শুধু করবে না, নাড়ি ছিদ্র পর্যন্ত করে দিতে পারে এবং নাড়ির মধ্যে যত দীর্ঘ সময় এ ব্যাটারি থাকবে, ততই ক্ষতি বাড়বে।
বোতাম ব্যাটারির এ অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়াতে যা করা দরকার:
l বাড়িতে খুঁজে দেখুন, বোতাম ব্যাটারি কোথাও আছে কি না। থাকলে তা শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।
l যেসব জিনিস/খেলনার মধ্যে এ ব্যাটারি থাকে; সেগুলোও বাচ্চাদের নাগালের বাইরে রাখুন।
l যেসব খেলনায় ব্যাটারি সংরক্ষণের বাইরের কভার একটু নড়বড়ে হয়ে গেছে বা ভেঙে গেছে, সেগুলো বদলানো বা মেরামত করা দরকার; যাতে বাচ্চা ব্যাটারি বের করতে না পারে বা এমনিতেই ব্যাটারি বেরিয়ে না আসে।
l কখনো বাচ্চা এ ব্যাটারি খেয়ে ফেললে বা যদি সন্দেহ হয়, খেয়ে ফেলেছে; তবে দেরি না করে হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে যেতে হবে।
অধ্যাপক আবিদ হোসেন মোল্লা, শিশুরোগবিশেষজ্ঞ
prothomasha.com
Copy Right 2023