দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার একটি ধানখেতে হাত-পা বাঁধা ও রক্তাক্ত অবস্থায় এক সাঁওতাল নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের ময়নামোড় এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত নারীর নাম বৃষনি পাহান (৫৫)। তিনি উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের বেনুপুর গ্রামের মুড়াপাড়ার মৃত সাধন পাহানের মেয়ে ও পেশায় একজন কৃষিশ্রমিক ছিলেন। প্রায় ২৫ বছর আগে স্বামী ছেড়ে যাওয়ার পর বাবার বাড়িতেই থাকতেন।
স্বজনেরা জানান, গতকাল শুক্রবার সকালে পাশের গ্রাম দামারপাড়ায় এক ব্যক্তির জমিতে ধান কাটার কাজে গিয়েছিলেন বৃষনি। ওই দিন আর বাড়িতে ফেরেননি। পরিবারের লোকজন গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় তাঁকে খোঁজাখুঁজি করেন। পরে আজ সকালে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে কাটলা এলাকার একটি ধানখেতে বৃষনির মরদেহ উদ্ধারের খবর পান তাঁরা। তাঁর সঙ্গে কারও কোনো দ্বন্দ্ব ছিল না বলে দাবি স্বজনদের।
খবর পেয়ে আজ সকাল ১০টার দিকে সেখানে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বিরামপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মঞ্জরুল ইসলাম ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হকসহ গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যেরা।
বিরামপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মঞ্জরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ওই নারীর শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। এ ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে মৃতের পরনের একটি ছেঁড়া পেডিকোট ও রক্তাক্ত দাঁত উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, বৃষনি পাহানকে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হবে। ঘটনাটির তদন্ত চলছে।