বগুড়া সদরে আলী হাসান হত্যা মামলায় বন্ধু সবুজ সওদাগরকে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৮ মে) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে শুক্রবার রাতে উপজেলার বেলাইলের হাজীর মিল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় ৷ পুলিশ জানিয়েছে, বন্ধু আলী হাসানের স্ত্রী মিতু বেগমের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কের জড়িয়ে পড়ে সবুজ। এই দ্বন্দ্বের জেরে হত্যাকাণ্ডটি সংগঠিত হয়।

গ্রেপ্তার সবুজ বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি ও সদরের ফাঁপোড় ইউনিয়নের শহরদিঘী গ্রামের মৃত সিরাজ সওদাগড়ের ছেলে। তার নামে দুইটি হত্যাসহ চারটি মামলা আছে। এছাড়াও নিহত আলী হাসান একটি হত্যাসহ ছয়টি মামলার আসামি ছিলেন। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ১৪ মে (মঙ্গলবার) দুপুরে সদরের শহরদীঘি গ্রামে নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে বন্ধু আলী হাসানকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে সবুজ। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আলী জিন্না সবুজ সওদাগরসহ চারজনের বিরুদ্ধে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। অন্য আসামিরা হলেন, সবুজের মা সিল্কী বেগম, সবুজের ভাই সম্রাট সওদাগর ও তার স্ত্রী লিপি বেগম।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আলী হাসান এবং সবুজ ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। তারা নিয়মিত একে অপরের বাড়িতে যাতায়াত করতেন। এক বছর আগে আলী হাসান জেল হাজতে থাকার সময় তার স্ত্রী মিতুর সঙ্গে বন্ধু সবুজের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে। জামিনে বের হয়ে আলী হাসান বিষয়টি জানতে পারলে দ্বন্দ্বের শুরু হয়। একপর্যায়ে এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে আপোস মীমাংসা হলে আগের মতো স্বাভাবিক চলাফেরা শুরু হয়। তবে গত মঙ্গলবার আলী হাসান সবুজের বাড়িতে আসার পর আবারও দুইজনের মধ্যে বাকবিতণ্ড ও হাতাহাতি শুরু হয়। একপর্যায়ে সবুজ তার বন্ধু আলী হাসানকে ছুরিকাঘাত করে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হাসানকে মৃত ঘোষণা করেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপর শরাফত ইসলাম বলেন, তথ্য প্রযুক্তি সহযোগিতায় সবুজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে তাদের অভিযান অব্যাহত আছে।