ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ‘রান-অফ’ভোটিং ব্যবস্থার দ্বিতীয় দফার ভোট আজ । চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গতকাল শনিবার ফ্রান্সে উত্তেজনাপূর্ণ নির্বাচনি প্রচার স্থগিত করা হয়েছে।এর আগে ৩০ জুন প্রথম দফার নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে মারি লো পেনের নেতৃত্বাধীন কট্টর ডানপান্থি ন্যাশনাল র্যালি (আরএন)। এতে সর্বোচ্চ ৩৩ শতাংশ ভোট পেয়েছে দলটি।আর বামপন্থি জোট নিউ পপুলার ফ্রন্ট ২৮ শতাংশ ও প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর মধ্যপন্থি জোট ২০ শতাংশ ভোট পেয়েছে। এতে ধারণা করা হয়েছিল, ৫৭৭ আসনের জাতীয় পরিষদে মারি লো পেন নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবেন। কিন্তু প্রতিপক্ষের প্রার্থীদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার কৌশলের কারণে সেই সম্ভাবনা এখন কম।
ফরাসি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, প্রথম দফার নির্বাচনে তৃতীয় হওয়া ২১৪ থেকে ২১৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন; অর্থাৎ দ্বিতীয় দফায় আর ৩০০ আসনে নয়, বরং ১০৮টি আসনে ত্রিমুখী লড়াই হবে।এএফপির প্রতিবেদন অনুসারে, গত শুক্রবারের এক জনমত জরিপে দেখা গেছে, আরএন জাতীয় পরিষদে সম্পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হবে।
অভিবাসনবিরোধীদের তে, ইউরোসেপ্টিক আরএন ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ১৭০ থেকে ২১০ আসন পেতে পারে। এই হিসাব নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য ২৮৯টি আসন থেকে যথেষ্ট কম। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর ডানপন্থি চরমপন্থা এবং বাম ও ডানপন্থি চরমপন্থার মধ্যে একটি পছন্দ করতে বাধ্য করার জন্য তার আগাম নির্বাচন আহ্বানের পাতানো খেলা কোনো ফল দেয়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে জরিপে।
prothomasha.com
Copy Right 2023