শনিবার (১ জুন) সকালে ফুলবাড়ী পৌর বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত দুই সপ্তাহ আগে যে আদা বিক্রি হয়েছে ১৮০ টাকা কেজি দরে, এখন সেই আদা বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকা কেজি দরে। ১৭০ টাকা কেজির রসুন বর্তমান বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে। ৫৫ টাকা কেজির পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় আর ৫০ টাকা কেজির কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। এভাবে দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছে সাধারণ নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ।
ফুলবাড়ী পৌর বাজারে বাজার করতে আসা মো. হাসানুজ্জামান বলেন, গত দুই সপ্তাহ আগে আদা ১৮০ টাকা কেজি দারে কিনতে পাওয়া গেলেও এখন সেই আদা কিনতে হচ্ছে ২৪০ টাকা কেজি দরে। এভাবে দাম বাড়লে সাধারণ মানুষ চলবে কীভাবে।অপর ক্রেতা জামিল হোসেন বলেন, কোরবানির ঈদ আসছে। সবার মসলা প্রয়োজন হয়। কিন্তু এই মসলার দাম বাড়ছে? বাজারে এসে দেখা যাচ্ছে আদা, রসুনের, পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে গেছে। নিত্যপণ্যের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে থাকলে অনেক ভাল হয়।
ফুলবাড়ী পৌর বাজারের পাইকারী সবজি ব্যবসায়ী মিহির চন্দ্র বলেন, ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে আদার দাম বাড়ছে। দেশের বাজারে রসুনের আমদানি বর্তমান কম, যার কারণে দাম বাড়ছে। আবার মোকামে দাম বৃদ্ধিসহ আমদানি কম হওয়ায় পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের দামও বেড়েছে। প্রচন্ড দাবদাহে কাঁচা মরিচের গাছ ঝলসে যাওয়ায় কাঁচা মরিচের ফলন কমে যাওয়ায় আমদানি কমে গেছে আশঙ্কাজনকভাবে। এসব কারণেই দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরবরাহ বাড়লে দামও কমে আসবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মো. আল কামাহ্ তমাল বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত বাজার মনিটরিং ও নজরদারী রাখা হয়েছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা যদি সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানোর চেষ্টা করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।