ফরাসি আটলান্টিক সমুদ্রসৈকতে শত শত সামুদ্রিক পাখিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। পরিবেশবাদীরা বলেছেন, সম্ভবত তীব্র শীতের ঝড়ের কারণে ক্লান্ত হয়ে পড়ায় পাখিগুলো খাবার সংগ্রহ করতে না পেরে মারা গেছে। তারা মনে করেন, এর সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের পরোক্ষ সংযোগ রয়েছে। ফ্রেঞ্চ লিগ ফর বার্ডসের অনুমান, এই বছরের শুরু থেকে ফরাসি আটলান্টিক উপকূলে ৫০০টিরও বেশি কমন গিলেমোট পাখি (পেঙ্গুইন এবং পাফিন জাতীয় সামুদ্রিক পাখি) মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। খবর রয়টার্সের
সি শেফার্ড নামের ফরাসি অলাভজনক সংগঠনের একজন স্বেচ্ছাসেবী অ্যান্টোইন প্রেভেল। তিনি বলেছেন, শীতকালে সমুদ্রসৈকতে গিলেমোটের নিয়মিত মৃত্যু হলেও গত সপ্তাহের মতো এত বড় পরিসরে এই পাখির মৃত্যু ঘটেনি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, সমুদ্রে কঠিন পরিস্থিতির কারণে পাখিগুলো ক্লান্ত হয়ে মারা গিয়ে থাকতে পারে।ফ্রান্সের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সায়েন্টিফিক রিসার্চের বিজ্ঞানী জেরোম ফোর্ট বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন একটি পরোক্ষ কারণ, যেহেতু এটি ঝড়ের মাত্রা এবং তীব্রতা বৃদ্ধি করে। বিশেষ করে শীতের ঝড় যেটি সামুদ্রিক পাখিদের ব্যাপকভাবে পথ ভুলে আটকে পড়ার অন্যতম প্রধান কারণ।’
ফোর্ট আরও বলেন, মাইক্রোপ্লাস্টিক এবং রাসায়নিক দূষণের বিষক্রিয়াও পাখিগুলোকে দুর্বল করে দিতে পারে। এ ছাড়া পাখিগুলো যে মাছ শিকার করে সেগুলো সংখ্যায় অনেক কমে গেছে। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য এবং অতিরিক্ত মাছ ধরার কারণে পাখিগুলো তীরের কাছাকাছি স্থানান্তরিত হয়েছে।গিলেমোট পাখি দুই বা তিন দিনের বেশি খাবার ছাড়া বাঁচতে পারে না। কারণ এগুলোর শক্তি ধরে রাখার ক্ষমতা অল্প এবং এই কারণে পাখিগুলোর নিয়মিত খাবার খাওয়া প্রয়োজন। ফোর্ট বলেন, ‘আমরা সম্প্রতি দেখেছি এমন ঝড়ের মধ্যে এই পাখিগুলো ঠিকমতো খেতে পারে না এবং ক্লান্ত হয়ে মারা যায়।’
prothomasha.com
Copy Right 2023