শরীরের সংবেদনশীল অঙ্গগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি চোখ। এর প্রতি বিশেষ যত্নশীল হওয়ার উচিত। তা না হলে আমাদের দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া ও আরো নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। ফলে এসবের কারণে নিয়মিত চশমা পরারও প্রয়োজন পড়তে পারে। কিন্তু, সবসময় চশমা পরে থাকা খুবই বিরক্তিকর।
চোখের সমস্যায় যাদের সবসময় চশমা পরে থাকতে হয়, এর বিরক্তি কেবল তারাই বুঝতে পারেন। তাই অনেকেই চশমার পরিবর্তে লেন্স ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু, আপনার যদি সেই উপায় না থাকে, তাহলে চশমা পরার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মেনে চলতে পারেন। চলুন দেখে নেওয়া যাক সেগুলো কী কী:
১. চশমা সবসময় নির্দিষ্ট বক্সের মধ্যে রাখার চেষ্টা করুন। এতে চশমা ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে। আবার খুঁজে পেতেও সুবিধা হবে।
২. প্রতিদিন অন্তত একবার চশমা পরিষ্কার করতেই হবে। পরিষ্কার পানি ও যেকোনো নরম সাবান দিয়ে সেটি ধুয়ে নিন। পানি ঝরে গেলে একটি নরম কাপড় দিয়ে চশমার লেন্স মুছে নিন।
৩. চশমা বাছাইয়ের সময় একটু বাড়তি যত্নশীল হতে হবে। মনে রাখবেন, চশমাও কিন্তু আপনার লুকেরই অংশ। তাই ঠিক কেমন লাগছে সে ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে নেওয়াই ভালো।
৪. ব্যবহারের চশমা মজবুত হওয়া জরুরি। যদি মনে হয়, শুধু রিডিং গ্লাস হলেই কাজ চলে যাবে, তা হলেও কিন্তু ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে তবেই নির্দিষ্ট পাওয়ারের চশমা নেওয়া উচিত।
৫. যাদের দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ, তাদের বাড়তি কয়েক সেট চশমা রাখা একান্ত আবশ্যক। অফিসের ব্যাগেও অবশ্যই স্পেয়ার চশমা রাখবেন।
৬. চশমা মাথার ওপর তুলে রাখবে না। তাতে যতই স্টাইলিশ দেখাক না কেন! এমন কয়েকবার করলেই সেটি আলগা হতে শুরু করবে। ফলে আপনি যথাযথ ভিশন পাবেন না।