ইচ্ছাকৃত খেলাপিরা নতুন বাড়ি ও গাড়ি কিনতে পারে না। নতুন ব্যবসা খুলতে পারছেন না। খেলাপি ঋণ কমাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ ধরনের সব সিদ্ধান্ত নিয়ে একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে। এর মাধ্যমে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে এনপিএল অনুপাত ৮ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য রয়েছে সংস্থাটির। রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু ফারাহ মোহাম্মদ নাছের এ তথ্য জানান।২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের ব্যাংক খাতে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৭ কোটি টাকা। যা মোট বিতরণকৃত ঋণের ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। সুশাসন নিশ্চিত করে ব্যাংকিং খাতের এনপিএল অনুপাত ৮ শতাংশে নামিয়ে আনতে একটি রোডম্যাপ অনুমোদন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে খেলাপিদের ছাড় না দিয়ে খেলাপি ঋণ আদায় জোরদার করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এছাড়া ব্যাংকিং খাতে সুশাসন নিশ্চিত করে সীমার বাইরে দেওয়া ঋণ, বেনামি সুদ সংক্রান্ত ঋণ এবং জালিয়াতির মাধ্যমে দেওয়া ঋণ শূন্যে নামিয়ে আনতে চায় বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু ফারাহ মোহাম্মদ নাছের বলেন, রোড ম্যাপে ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের কথাও উল্লেখ রয়েছে। এ জন্য যেসব কর্মকর্তার ঋণ খেলাপি হয়েছে তাদের জন্য বিশেষ ভাতা চালু করার কথাও বলা হয়েছে। আবু ফারাহ মোহাম্মদ নাছের আরও বলেন, এখন কোনো গ্রাহককে তার থেকে বেশি ঋণ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে না। দুর্বল ব্যাংকগুলোকে ভালো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করা হবে। এর মাধ্যমে ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ শক্তিশালী হবে, মূলধন ঘাটতি দূর হবে।
prothomasha.com
Copy Right 2023