উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় প্রতিরক্ষাসংক্রান্ত তথ্য ফাঁসের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেছেন।আজ বুধবার স্থানীয় সময় যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের তত্ত্বাবধানে থাকা নর্দান মারিয়ানা আইল্যান্ডসে দেশটির একটি আদালতে উপস্থিত হয়ে নিজের দোষ স্বীকার করেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন কারাভোগের পর চূড়ান্তভাবে মুক্তি পেতে যাচ্ছেন অ্যাসাঞ্জ।
যদিও গতকাল মঙ্গলবারই জানা গিয়েছিল যে, অ্যাসাঞ্জ মার্কিন আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করবেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের সঙ্গে একটি সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ওই চুক্তিতে বলা হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রের গোপন তথ্য ফাঁসের যে ফৌজদারি অভিযোগ অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে, আদালতে তা স্বীকার করবেন।
২০১০ ও ২০১১ সালে ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ গোপন সামরিক-কূটনৈতিক নথি ফাঁস করে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন অ্যাসাঞ্জ। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ১৮টি মামলার তদন্ত করছে মার্কিন বিচার বিভাগ। পাঁচ বছর ধরে তিনি যুক্তরাজ্যের কারাগারে আটক ছিলেন। সেখান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
দোষ স্বীকার করে নেওয়ার সিদ্ধান্তের পর যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় সোমবার বেলামার্শ কারাগার থেকে ছাড়া পান অ্যাসাঞ্জ। এরপর তিনি প্রশান্ত মহাসাগরের নর্দান মারিয়ানা আইল্যান্ডসের উদ্দেশে পাড়ি দেন। বুধবার সকালের দ্বীপটিতে অবস্থিত মার্কিন আদালতে পৌঁছান তিনি। সেখানে শুনানি শেষে অ্যাসাঞ্জের সাজা ঘোষণা করবেন বিচারকেরা। তার ৫ বছর ২ মাস কারাদণ্ডের সাজা হতে পারে। তবে যুক্তরাজ্যে এরই মধ্যে একই সময় কারাভোগ করেছেন তিনি।
মার্কিন বিচার বিভাগের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, কারাগারে থাকা ওই সময়কে তার সাজাভোগের সময় হিসেবে ধরা হবে। ফলে তাকে নতুন করে আর কারাগারে থাকতে হবে না।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে উইকিলিকস জানিয়েছে, শুনানি শেষে নিজ দেশ অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি।
prothomasha.com
Copy Right 2023