দেশে আশঙ্কাজনক ভাবে বাড়ছে গনপিটুনীতে হত্যা ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে গনপিটুনীতে হত্যা বেড়েছে ৪১ শতাংশ। আর ২০১৯ সালে রাজধানীতে রেনু হত্যার পর এই পর্যন্ত গনপিটুনীতে মারা গেছে ২২৪ জন। গনপিটুনীতে হত্যা ঘটনা বেড়ে যাওয়া পুলিশ ও বিচার ব্যবস্থার প্রতি । অ আস্থাহীনতা লক্ষন বলে মনে করে বিশ্লেষকরা।
গেলো ৮ ই মার্চ নারায়নগঞ্জ সোনারগাঁও উপজেলায় মসজিদে ঘোষনা দিয়ে ডাকাত সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ৪ জনকে। গনপিটুনীতে অংশ নেয় কয়েক“শ গ্রামবাসি। গনপিটুনীর এই ঘটনা চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় সারাদেশ । গাজীপুরে গরু চোর সন্দেহে গনপিটুনীতে নিহত হয় ২ যুবক। ২০১৯ সালে জুলাই মাসে ঢাকার উওর বাড্ডায় ছেলে ধরা সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করা হয় তসলিমা বেগম রেনু নামে এক নারীকে।
এ নিয়ে দেশ জুরে সমালেচনার জ্বর উঠলেও পরে ধামাচাপা পরে যায় ঘটনাটি। এই সময়ে পদ্মা সেতুতে মানুষের রক্ত কীংবা মানুষের মাথা লাগবে এমন গুজব ছড়ানো হয়। যা থেকে তৈরি হয় ছেলে ধরা গুজব। অবশ্য গেলো কয়েকবছর গুজব শুনলেও গনপিটুনী বন্ধ হয়নি।
মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দের হিসাবে চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে সারাদেশে গনপিটুনীতে ৯ জন নিহত হয়েছে। আর ২০১৯ সাল থেকে এ বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত সারাদেশে গনপিটুনীতে নিহত হয়েছেন ২২৪ জন। তবে রেনু হত্যার পর থেকে রাজধানীতে গনপিটুনীর বড় কোনো ঘটনা না ঘটলেও পুলিশ শক্ত অবস্থানে আছে বলে জানান পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিচালক খন্দকার মহিদউদ্দিন। অপরাধীদের আগাত না করে আইনের হাতে তুলে দেওয়ার পরামর্শ এই পুলিশ কর্মকর্তার।
অপরাধ বিশেষঙ্গরা বলছেন আইনের উপর অনাস্থা থেকেই আশঙ্কাজনক ভাবে বাড়ছে গনপিটুনীর ঘটনা। অতি উৎসাহী হয়ে যারা গনপিটুনীতে অংশ নেয় তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া দরকার বলে মনে করে বিশেষঙ্গরা।
prothomasha.com
Copy Right 2023