আগামী দুই দশকে বিশ্বজুড়ে নতুন করে প্রোস্টেট ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণের বেশি হবে। আজ বৃহস্পতিবার ল্যানসেট সাময়িকীতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। জনসংখ্যার পরিবর্তনসংক্রান্ত এক গবেষণার ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে ল্যানসেট। প্রতিবেদনে বলা হয়, গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, ২০২০ সালে ১৪ লাখ মানুষ নতুন করে প্রোস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছে। নতুন আক্রান্তের এ সংখ্যা প্রতিবছর বেড়ে ২০৪০ সাল নাগাদ ২৯ লাখে দাঁড়াবে।
গবেষকেরা বলছেন, মানুষের আয়ু বেড়ে যাওয়ার কারণে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যাও বেড়ে যাচ্ছে। সাধারণত পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তিরা এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকেন। পুরুষদের প্রোস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ক্যানসার আক্রান্ত পুরুষদের প্রায় ১৫ শতাংশই প্রোস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত। গবেষকেরা বলছেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে মানুষের গড় আয়ু যেমন বেড়েছে, প্রোস্টেট ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়েছে। গবেষকেরা আরও বলেছেন, এ ক্ষেত্রে জনস্বাস্থ্য নীতিমালা কার্যকর করেও কোনো বদল আনা যাবে না। ফুসফুস ক্যানসার বা হৃদ্রোগের ক্ষেত্রে জনস্বাস্থ্য নীতিমালা প্রয়োগ করে ফল পাওয়া যায়।
বংশগত কারণে যেসব ক্যানসার হয়ে থাকে, সেগুলো অন্য ক্যানসারের (যেমন ফুসফুস ক্যানসার) তুলনায় কম নিয়ন্ত্রণযোগ্য। ধূমপানকে ফুসফুসের ক্যানসারের অন্যতম কারণ বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। প্রোস্টেট ক্যানসারের সঙ্গে যে স্থূলতার সম্পর্ক আছে, তা ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তবে এটি প্রোস্টেট ক্যানসারের সরাসরি কারণ কি না তা এখনো জানা যায়নি। গবেষকেরা মনে করেন, বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের উচিত জনগণকে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উদ্বুদ্ধ করা। কারণ, প্রায়ই প্রোস্টেট ক্যানসার শনাক্তে দেরি হয়ে যায়। আর তখন কার্যকরী চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয় না।
prothomasha.com
Copy Right 2023