টাঙ্গাইল শাড়ির ভৌগোলিক নির্দেশক-জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেতে ভারতের আবেদনে অসত্য তথ্য উপস্থাপন ও তথ্যের অপব্যবহার করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সংস্থাটির ডিস্টিংগুইশড ফেলো। সরকারের সচেতনতা, উদ্যোগ ও নীতির ব্যর্থতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বীকৃতি নিয়ে ভারতে যা ঘটেছে তা বিপদ সংকেত। এ বিষয়ে জাতীয়ভাবে টাস্কফোর্স গঠন করার দাবি সংস্থাটির।
টাঙ্গাইল শাড়িকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (জিআই) হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে যখন তীব্র সমালোচনা চলছে, তখন শনিবার গবেষণা সংস্থা সিপিডিও সাংবাদিকদের প্রতিক্রিয়া ও পরামর্শ তুলে ধরে। যেখানে বলা হয়, টাঙ্গাইল শাড়ি নিয়ে ভারতের ভূমিকায় অসত্য তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রতিসপ্তাহে ভারতে রপ্তানি হচ্ছে ৫০ হাজার টাঙ্গাইল শাড়ি। অর্থনৈতিকভাবেও এটি গুরুত্বপূর্ণ হলেও যা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁতিরা। ফলে মেধাস্বত্ত ফিরে পেতে আইনি প্রক্রিয়ার অংশগ্রহণ, জাতীয়ভাবে টাস্কফোর্স গঠন এবং নিজেদের সক্ষমতা বাড়ানের ওপর জোর দেয়ার কথা জানিয়েছে সিপিডি।সিপিডি জানায়, এখন পর্যন্ত সরকার মাত্র ২১টি পণ্যকে জিআই হিসেবে চিহ্নিত করতে পেরেছে। নাটোরের কাঁচাগোল্লা কিংবা দেশীয় ঐতিহ্যের সাথে মিশে আছে এমন আরও জিআই পণ্য চিহ্নিত করে তার সুরক্ষা নিশ্চিতের পরামর্শ সংস্থাটির।
prothomasha.com
Copy Right 2023