নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করে আর্থিক অনুদান প্রদান করলেন সদর পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান মাসুম জানা যায়, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে তিনি অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত তিনটি পরিবারের মাঝে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার আর্থিক অনুদান প্রদান করেন তিনি।
তারা হলেন সদর উপজেলার বিষয়খালীর কানুহরপুর মসজিদের মোয়াজ্জেম শাহ জামাল সুখিয়া গ্রামের কৃষক হোসেন আলী ও রমজান আলীর বাড়িতে গিয়ে মিজানুর রহমান মাসুম এ অর্থ প্রদান করেন। সে সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষকলীগের প্রচার সম্পাদক তরিকুল ইসলাম দিদার, যুবলীগ নেতা ফারুক হোসেন, ইউপি সদস্য ইব্রাহিম হোসেন, আশরাফুল ইসলামসহ স্থানীয় ব্যক্তিরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা জানান, মিজানুর রহমান মাসুম একজন ঠিকাদার। তাকে আগে কখনো অনুদান দিতে দেখা যায়নি। তবে কিছুদিন আগে ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচনে তিনি মেয়র প্রার্থী হয়েছিলেন। তখন শুধুমাত্র পৌরসভা এলাকাতে কিছু আর্থিক অনুদান দিতে দেখা গেছে। বর্তমান শুনছি তিনি আবার সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সে হিসাবে তিনি নির্বাচনকে সামনে রেখে উপজেলাব্যাপী আর্থিক অনুদান দিয়ে বেড়াচ্ছেন।
জানা গেছে, সম্প্রতি অগ্নিকাণ্ডে সদর উপজেলার বিষয় খালি কানুহরপুর মসজিদের মোয়াজ্জেম সাহা জামাল সুতলিয়া গ্রামের কৃষক হোসেন আলী ও রমজান আলীর বাড়িতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তাদের বসতঘর, গোয়ালঘরসহ পুড়ে মারা যায় গরু ছাগল ও মহিষ। এছাড়াও তিনটি বাড়িতে দগ্ধ হয় আরও বেশ কয়েকটি গরু ও ছাগল। এসব পরিবারকেই তিনি অনুদান প্রদান করেছেন।
সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান মাসুম বলেন, অগ্নিকাণ্ডে তাদের বাড়ি-ঘর ও মহিষ, ছাগল পুড়ে গেছে। আমি তাদের কোনো অনুদান দিতে নয় আমি তাদের দেখতে গিয়েছিলাম। দেখতে গিয়ে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে তাদের কিছু সাহায্য করেছি। তিনি বলেন, নির্বাচনের আচরণবিধি যাতে লঙ্ঘন না হয় সেজন্য কাউকে অনুদান বা সাহায্য সহযোগিতা করতে পারিনি। তবে নির্বাচনে যদি বিজয়ী হই, তাহলে দরিদ্রদের প্রতিনিয়তই সাহায্য করব। বিগত বছরগুলোতেও করেছি, সামনেও করব।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মোখলেছুর রহমান জানান, নির্বাচন আচরণ বিধিমালা ২০১৬ অনুযায়ী কোনো প্রার্থী বা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তার পক্ষে রাজনৈতিক দল অন্য কোনো ব্যক্তি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান নির্বাচন পূর্ব সময়ে সংশ্লিষ্ট উপজেলা এলাকায় অবস্থিত কোনো প্রতিষ্ঠানে প্রকাশ্য বা গোপনে কোনো প্রকার চাঁদা বা অনুদান প্রদান করতে বা প্রদানের অঙ্গীকার করতে পারবেন না। তিনি যদি অর্থ প্রদান করে থাকেন তাহলে এটা অবশ্যই নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে।
prothomasha.com
Copy Right 2023