সম্পর্কে রাগ, অভিমান ও ঝগড়া হওয়াটা স্বাভাবিক। প্রতিটা সম্পর্কেই এমন হয়ে থাকে। আর ঝগড়া হলে তখন কেউ মিষ্টি করে কথা বলে না। ঝগড়া মানেই উচু গলায় উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়। কিন্তু রেগে গিয়ে মানুষ যা বলে, তার বেশিরভাগই অর্থহীন। ঝগড়া কখনো সমাধান আনে না। বরং আপনি যদি সত্যিই সমাধান চান তাহলে ঝগড়ার সময় শান্ত থাকতে হবে। যদিও এটি সহজ নয়, তবুও চেষ্টা করতে হবে। সম্পর্ক ভালো রাখার খাতিরে আপনাকে শান্ত থাকতে হবে।
ঝগড়ার সময় গভীর শ্বাস নেওয়া এবং নীরবতা পালন করার পরামর্শ দেওয়া হয়। কারণ। এটি পরিস্থিতি মোকাবিলায় সহায়তা করে। শ্বাস-প্রশ্বাসের কৌশলগুলো তর্ক কমাতে সাহায্য করে। এটি রাগ এবং তর্কের সঙ্গে মোকাবিলা করার একটি ব্যবহারিক হাতিয়ার। ঝগড়া থেকে বিরতি নেওয়াও মানসিক চাপ কমাতে কার্যকর।
সহানুভূতিশীলতা বোঝাপড়ার বিকাশ ঘটায় এবং যুক্তিকে দ্বন্দ্বে রূপান্তরিত হতে বাধা দিতে সাহায্য করে। সহানুভূতি অপরপক্ষের অভিজ্ঞতা এবং চিন্তা যাচাই করতে সাহায্য করে এবং তর্কের সমাধানে সাহায্য করে। তাই সব সময় প্রতিক্রিয়াশীল না হলে সহানুভূতিশীল হোন। এতে সমাধান সহজ হবে।
বিরোধপূর্ণ পরিস্থিতি সমাধানের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হলো আক্রমণাত্মক না হওয়া। এমন হলে তা পরিস্থিতি আরও খারাপ করে তোলে। তাই এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকুন।
কথার উত্তরে দ্রুত কথা না বলে একটু সময় নিন। অপরপক্ষের কাছ থেকে ব্যাখ্যা দাবি করার আগে চিন্তা করা গুরুত্বপূর্ণ। কথার পিঠে কথা বললে তা বিরোধপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টি করে এবং সমাধানের আগেই পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যায়। তাই সময় নিন। এটি পরিস্থিতি শান্ত করতে সাহায্য করবে।
তর্কের মাঝে মেজাজ হারানো যাবে না। এর পরিবর্তে সমাধান খোঁজার চেষ্টা করুন। চিৎকার এবং উচু গলায় কথা বললে তা শুধুমাত্র উত্তেজনা বাড়ায়। মেজাজ হারিয়ে ফেললে তা হতে পারে সম্পর্কের মধ্যে দ্বন্দ্বের প্রধান কারণ। ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নিন।
prothomasha.com
Copy Right 2023