জেলেদের বাদ দিয়ে ভিজিএফের সরকারি চাল পাওয়ার তালিকায় নাম রাখা হয়েছে পটুয়াখালীর মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের আত্মীয়-স্বজনদের। বাদ যায়নি ইউপি সদস্যও। এতে সরকারি ত্রাণ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রকৃত জেলেরা। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলছেন, অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেজবা উদ্দিন খান। অভিযোগ রয়েছে, মৎস্য আহরণে নিষেধাজ্ঞার সময় চাল পাওয়া জেলেদের তালিকায় রয়েছে তার দুই ভাইসহ কয়েকজন আত্মীয়ের, যারা জেলে নন। জেলে না হয়েও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলামও রয়েছেন তালিকায়। বাদ পড়েছেন প্রকৃত জেলেরা।
স্থানীয় এক জেলের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এলাকার অনেক দোকানদার বা জেলে নন অনেকের নামই তালিকায় রয়েছে, তবে তিনি জেলে হয়েও নাম পাননি তালিকায়।ইউপি সদস্য রফিকুল তালিকায় নাম পাওয়ার কথা স্বীকার করে জানান, এবারের তালিকা থেকে নাম বাদ দেবেন। তিনি বলেন, ‘আমার গত বছরেও নাম এসেছে, এ বছরেও। যদিও এটা ঠিক না। প্রকৃত জেলেদের পাওয়া উচিত। আমি এবার তালিকা থেকে নাম বাদ দিয়ে দেব।’
পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেজবা উদ্দিন খানের দাবি, তালিকা তৈরি করেছেন ইউপি সদস্যরা। ত্রুটি সংশোধন করে আবারও তালিকা করা হবে। তিনি বলেন, ‘এই চেয়ারম্যানের আমলে সবাই ভাগ-বাটোয়ারা করে চাল খাবে সে অনুয়ায়ী তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। আর তালিকাটা মেম্বাররাই করে। আমরা নতুন করে তালিকা করব।’
অনিয়ম হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা। তিনি বলেন, ‘ভিজিএফের চালের বিষয়ে জেলের বাইরে কয়েকজনের নাম আসছে। চেয়ারম্যান তালিকা নিয়ে গেছে। তালিকার বাইরে নাম আসলে আমরা ব্যবস্থা নেব।’মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নে জেলে রয়েছেন প্রায় এক হাজার।
prothomasha.com
Copy Right 2023