তীব্র গরম পড়েছে শহরজুড়ে। রোদের প্রচণ্ড তাপে বাড়ির বাইরে পা ফেলাই মুশকিল। আবার ভেতরেও ভ্যাপসা গরম। তবুও প্রয়োজনের তাগিদে কর্মজীবী মানুষদের বাইরে যেতে হয়। এসময় খাদ্যাভ্যাসেও অনিয়ম হচ্ছে। এর ফলে দেখা দিচ্ছে লুজ মোশন বা পেট খারাপ। পেট খারাপ খুবই অস্বস্তিকর। বিশেষ করে এ অবস্থায় বাইরে বের হলে খুবই বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। তাই এর থেকে মুক্তি পেতে নানা ধরনের ওষুধ খেয়ে থাকেন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পেট খারাপ ভালো করতে ঘরোয়া প্রতিকার অনুসরণ করতে পারেন। এতে পেট ঠাণ্ডা হওয়ার পাশাপাশি পেটের অস্বস্তিও দূর হবে।
তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক, পেট ঠাণ্ডা রাখতে যেসব খাবার খাবেন:
কলা
কলা পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার। যা শরীরে তরল ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে পেট খারাপ কমায়। পেট ঠাণ্ডা রাখতে প্রতিদিন ১-২ টি পাকা কলা খান। দই ও মধু দিয়ে একটি কলার স্মুদি তৈরি করেও খেতে পারেন। এতে স্বস্তি পাবেন।
ডাবের পানি
ডাবের পানি একটি প্রাকৃতিক ইলেক্ট্রোলাইট-সমৃদ্ধ তরল। যা ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। হাইড্রেটেড থাকার জন্য যখনই পারবেন ডাবের পানি পান করুন।
দই
দইয়ে প্রোবায়োটিক রয়েছে। এটি একটি উপকারী ব্যাকটেরিয়া। এটি অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য পুনরুদ্ধার এবং পেট খারাপ বন্ধ করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ১-২ কাপ সাধারণ এবং মিষ্টি ছাড়া দই খান। এটি পেট ঠাণ্ডা রাখবে।
আদা চা
আদার প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা পরিপাকতন্ত্রকে প্রশমিত করতে এবং পেটখারাপ কমাতে সাহায্য করে। আদা চা তৈরি যেভাবে করবেন- এক কাপ গরম পানিতে কয়েক টুকরো তাজা আদা দিয়ে দিন। ৫-১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর স্বাদমত মধু যোগ করুন এবং প্রতিদিন ২-৩ কাপ পান করুন।
জিরা
জিরায় প্রাকৃতিক অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা পেট খারাপ ভালো করতে কার্যকরী। এজন্য শুকনো একটি প্যানে এক চা চামচ জিরা ভেজে গুড়া করে নিন। এক কাপ পানিতে ওই পাউডার মিশিয়ে দিনে ২ থেকে ৩ বার পান করুন। বিশেষজ্ঞদের মতে, গরমের সময় ক্যাফিনযুক্ত এবং অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়গুলো এড়ানো উচিত। কারণ, এগুলো ডিহাইড্রেশন বাড়ায়। পাশাপাশি একটি সুষম এবং পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে ভুলবেন না। এর পাশাপাশি খাওয়ার আগে ও টয়লেট ব্যবহারের পর সঠিক স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করুন।