অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, খাওয়া–দাওয়ায় অনিয়মের কারণে শরীরে যে অসুখগুলি সবচেয়ে বেশি সমস্যায় ফেলে, রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়া তাদের মধ্যে অন্যতম। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। রক্তে দুই ধরনের কোলেস্টেরল রয়েছে, যা এইচডিএল ও এলডিএল কোলেস্টেরল হিসেবে পরিচিত । এই দুই কোলেস্টেরলের ভারসাম্য বজায় রাখা খুব জরুরি।
ভালো কোলেস্টেরল অর্থাৎ এইচডিএল শরীরে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পাদন করে। যেমন: হরমোন ও ভিটামিন ডি উৎপাদন। খারাপ কোলেস্টেরল, অর্থাৎ এলডিএল আমাদের ধমনীতে জমা হতে শুরু করে। এতে হৃৎপিণ্ড সম্পর্কিত সমস্যা দেখা দেয়। আপনার যদি প্রায়শই হাতে ব্যথা হয়, তবে এটি দেহে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা এবং বাড়ার লক্ষণ হতে পারে।
লক্ষণ
১. হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাওয়া।
২. অল্প কিছুক্ষণ হাঁটলেই পা যন্ত্রণা করা।
৩. চোখের নিচে বা চোখের পাতায় সাদাটে বা হলুদ ব্যথাহীন ফোলা অংশ দেখা যাওয়া।
৪. দীর্ঘদিন মেদ জমার ফলে হৃদযন্ত্রের ধমনীর পথ সরু হয়ে যায়। ফলে সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাধা প্রাপ্ত হয়।
৫. কোলেস্টেরল বাড়লে তার প্রভাব পড়ে নখে। নখের উজ্জ্বলতাও হারিয়ে যায়, নখ হলুদ হয়ে যায়। অনেকের ক্ষেত্রে নখের নিচে কালো ও বাদামি রঙের রেখাও চোখে পড়ে।
৬. জিহ্বা দেখেও বুঝতে পারা যায় শরীরে কোলেস্টেরল বাসা বাধছে কিনা। এতে জিহ্বায় বিবর্ণ ছোট ছোট দানা দেখা যায়।
৭. শরীরে মেদ জমাও উচ্চ কোলেস্টেরলের লক্ষণ হতে পারে। বিশেষ করে তলপেটে মেদ জমতে শুরু করলেও সচেতন হতে হবে।