অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস পালন করেছে। গতকাল শুক্রবার দিবসটি উপলক্ষে হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে হাইকমিশন প্রাঙ্গণে একটি বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার দেওয়ান হোসনে আইয়ুব।অনুষ্ঠানের শুরুতে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর হাইকমিশনের কর্মকর্তাবৃন্দ এই বিশেষ দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে ঢাকা থেকে পাঠানো রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনান। এছাড়া, দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে একটি বিশেষ তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।আলোচনায় বক্তারা ঐতিহাসিক ছয় দফার প্রেক্ষাপট ও ঐতিহাসিক তাৎপর্যের ওপর আলোকপাত করেন। তারা বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার ক্ষেত্রে ছয় দফা আন্দোলনের ভূমিকা এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অবদানের ওপর জোর দেন।ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার তার সমাপনী বক্তব্যের শুরুতে বঙ্গবন্ধু ও আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লাখ শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৬৬ সালের ৭ জুন এই দিনে বাঙালির মুক্তির সনদ ৬-দফা আদায়ের লক্ষ্যে এ দিনে আওয়ামী লীগের ডাকে হরতাল চলাকালে নিরস্ত্র জনতার ওপর তৎকালীন পাকিস্তানী পুলিশ গুলিবর্ষণ করে এবং এতে ১১ জন বাঙালি শহিদ হন। তিনি ছয়-দফা আন্দোলনকে বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে চিহ্নিত করেন।তিনি বলেন, ছয় দফা বাঙালির মধ্যে প্রতিরোধ ও সংকল্পের শিখা জ্বালিয়েছিল। এটি আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ভিত্তি স্থাপন করেছিল, যার ফলে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কানাডায় বসবাসরত নতুন প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দিতে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার সবার প্রতি আহ্বান জানান।
prothomasha.com
Copy Right 2023