পাকিস্তানের করাচিতে তীব্র গরমে হাঁসফাস করছে বাসিন্দারা। এখন পর্যন্ত ১৭০০ জন হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন, গত দুইদিনে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১০ জন। গতকাল বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান করাচির কমিশনার সৈয়দ হাসান নাকভি।
এর আগে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, গত ছয় দিনে করাচি থেকে ৫৬৮ জনের মরদেহ মরচুয়ারিতে নিয়ে গেছেন তারা, সাধারণত প্রতিদিন ৩০-৪০ মরদেহ তার নিয়ে থাকেন। হঠাৎ করে এত মানুষের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা না গেলেও গরমজনিত কারণে তাদের মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয় ওই প্রতিবেদনে।
এমারজেন্সি সার্ভিসের ডাক্তার ইমরান শেখ জানান, রবিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে শুধু সিভিল করাচি হাসপাতালেই ভর্তি হন ২৬৭ জন। তাদের মধ্যে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি জানান, হিটস্ট্রোকে আক্রান্তদের বেশিরভাগেরই বয়স ৬০ থেকে ৭০ বছর বয়সী। ২০ বছরের এক দম্পতিও আছেন অসুস্থদের তালিকায়।তবে সৈয়দ নাকভি জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত গরমে ১০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করছেন তারা।
করাচিতে বেশ কিছুদিন ধরে তীব্র গরম বিরাজ করছে। এক আবহাওয়াবিদ এটিকে ‘আংশিক তাপপ্রবাহ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। জনসাধারণের স্বস্তির কথা বিবেচনায় রেখে বিভিন্ন স্থানে তাপপ্রবাহ কেন্দ্র ও ক্যাম্প স্থাপন করেছে কর্তৃপক্ষ। শুধু করাচি শহরই নয়, পাকিস্তানের অন্যান্য অঞ্চল তীব্র তাপপ্রবাহের সঙ্গে লড়াই করছে। রয়টার্সের তথ্যানুসারে, গত মাসে সিন্ধ প্রদেশে প্রায় রেকর্ড-ব্রেকিং ৫২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।তীব্র গরমে সবাইকে প্রচুর পানি পান করতে এবং হালকা পোশাক পরিধান করতে বলছেন চিকিৎসকরা।
prothomasha.com
Copy Right 2023