সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের ভাই, হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী তোফায়েল আহমেদ ওরফে জোসেফের মুক্তিতে তৎকালীন রাষ্ট্রপতির (মো. আবদুল হামিদ) সই লাগেনি- মনে এমন প্রশ্ন জাগে বলে জানালেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। সাবেক সেনাপ্রধান বলেছেন বলেই তার ভাইকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলেও মনে হয় তার। আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক অবস্থান কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি।
জাতীয়তাবাদী মোটর চালক দলের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ নেতাকর্মীদের মুক্তি এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এই অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি সেলিম রেজা বাবুর সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, সহপ্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, কেন্দ্রীয় নেতা আজমল হোসেন পাইলট, ভিপি ইব্রাহীম প্রমুখ।
অবস্থান কর্মসূচিতে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘সরকার সমস্যায় আছে। তার তৈরি সেনাবাহিনী প্রধানের (সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ) নামে আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। কী কারণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে? সরাসরি বলেছে দুর্নীতির কারণে। দুর্নীতির মাধ্যমে ব্যবসা পাইয়ে দিয়েছে নিজের ভাইদের, দুর্নীতির মাধ্যমে নিজের ভাই খুনের আসামি, তাকে জেল থেকে মুক্ত করে দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমার মনে প্রশ্ন হয়, ওই যে খুনের আসামিকে জেল থেকে মুক্ত করে দিল ওটা শুধু জেনারেল আজিজ বলেছেন তাই হয়েছে। প্রেসিডেন্টের (রাষ্ট্রপতির) সই করতে হয়নি, যিনি তখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন (মো. আবদুল হামিদ) তাকে তার প্রধানমন্ত্রী রিকোয়েস্ট করে বলেন নাই তাকে ছেড়ে দেন।’ নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, ‘অতএব স্যাংশন যদি ঠিক মতো হয়, তাহলে শুধু সেনাপ্রধান খাবেন না, তৎকালীন রাষ্ট্রপতিও খাবেন, এখনকার এবং তখনকার যে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন সেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও স্যানশন থাবেন। অপেক্ষা করেন, আমেরিকার স্যাংশন দিতে হবে না, আমরাই আপনাকে স্যাংশন দেব। সেই পথ তৈরি হচ্ছে, সেই পথে মানুষ এখন যাচ্ছে।’
সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘ভাবতে পারেন একটা লোক কত ধরনের দুর্নীতি করেছে! একজনকে র্যাবপ্রধান বানিয়েছিলেন, তারপরে পুলিশপ্রধান, তারপরে তার নামে পুরো বাহিনীরই বদনাম হয়েছে, র্যাব স্যাংশন খেয়েছে, এখন আবার তার নামে আমেরিকা নয়, বিদেশ নয়, দেশের মধ্য থেকে তদন্ত হচ্ছে সব অ্যাকাউন্ট জব্দ, বন্ধ এবং তার যত সম্পত্তি আছে সব কিছু বাজেয়াপ্ত।’
মাহমুদুর রহমান মান্না আরও বলেন, ‘আমার জানতে ইচ্ছা করে বেনজীর আহমেদের কত টাকা আছে ব্যাংকে? এই যে এতদিন পরে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করলেন কেন? এতদিন সময় দিলেন! মানে মাল যা কামিয়েছে সেইগুলো বাইরে ট্রান্সফার করে দেওয়ার জন্য। পত্রিকায় দেখলাম বেনজীর ও তার পরিবারের সম্পত্তির পরিমাণ ৩৪২ বিঘা। তার ব্যাংকে কত টাকা ছিল সেটা তাদের জানবার কথা। আমি দাবি করছি তাও জানান, আমি দাবি করছি কেন এতদিন পরে তার নামে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলো। দুদক যখন তদন্ত করতে চেয়েছিল তখন হাইকোর্ট কেন তদন্ত বন্ধ করেছিল কার নির্দেশে?’
prothomasha.com
Copy Right 2023